সূর্যের গায়ে মৌচাকের মতো এগুলি কী! শক্তিশালী সোলার টেলিস্কোপে ধরা পড়া ছবিতে বাড়ছে রহস্য

সূর্যের গায়ে মৌচাকের মতো এগুলি কী! শক্তিশালী সোলার টেলিস্কোপে ধরা পড়া ছবিতে বাড়ছে রহস্য

71da68af6aad0d1a38a0c93483513087

নয়াদিল্লি: মহাকাশে মহাবিস্ময়! গ্রহ নক্ষত্রের এই সুবিশাল সংসারের পরতে পরতে ছড়িয়ে রহস্য৷ এবার টেলিস্কোপে ধরা দিল সূর্যের এক নতুন রূপ! যা দেখে বিস্মিত দুনিয়া৷   

আরও পড়ুন- স্পিতি উপত্যকার হিমবাহগুলি ‘মৃত্যু’র মুখোমুখি! ভবিষ্যৎ নিয়ে আশঙ্কা

এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে শক্তিশালী সৌর টেলিস্কোপে সূর্যের একটি অত্যাশ্চর্য প্রতিকৃতি ধরা পড়েছে। সায়েন্স অ্যালার্টের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, সেই ছবিটি আমাদের সূর্যের খুব কাছাকাছি পৌঁছে দিয়েছে৷ টেলিস্কোপে সূর্যের খুব ক্লোজ ছবি ধরা পড়েছে৷ যার রেজলিউশন প্রায় ১৮ কিলোমিটার৷ এই গভীরতায় সূর্যের যে বায়ুমণ্ডল রয়েছে, তা ক্রোমোস্ফিয়ার নামে পরিচিত। সূর্যের যে ছবিতে ধরা পড়েছে তা বড্ড লোমশ দেখিয়েছে৷ আর তা নিয়েই জোড় চর্চা শুরু হয়েছে বিজ্ঞানীমহলে৷ এই লোমশ অংশটি আসলে কী?  

ছবিতে দেখা গিয়েছে, অগ্নিগর্ভ প্লাজমার স্ট্র্যান্ডগুলি  অদ্ভুতভাবে একটি মৌচাকের মতো আকার ধারণ করেছে। যার ব্লকগুলি প্রায় ১,৬০০ কিলোমিটার প্রশস্ত। এই ছবিতে ৮২,৫০০ কিলোমিটারের বিস্তীর্ণ এলাকা ধরা পড়েছে, যা বিশাল নক্ষত্রের একটি ক্ষুদ্র ভগ্নাংশ মাত্র। গবেষকরা পৃথিবীর ছবিটি প্রেক্ষাপটে রেখেছেন যাতে এই চিত্রটি কতটা বিশাল এলাকার  তার একটি সহজ ধারণা পাওয়া যায়।

এনএসএফ-এর Inouye Solar Telescope হল বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী সৌর টেলিস্কোপ৷ সূর্যের রহস্য ভেদে যা এক উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করবে৷ লেখা হবে এক নতুন অধ্যায়৷ এই টেলিস্কোপটি পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের জন্য ২৫ বছর সময় লেগেছে। টেলিস্কোপটি এতটাই শক্তিশালী যে, এটি একটি শহরের ছোট-ছোট এলাকার মতো গভীরতাকে লেন্সবন্দি করতে সক্ষম৷ 

ইউএস ন্যাশনাল সায়েন্স ফাউন্ডেশন (এনএসএফ)-এর ডিরেক্টর, সেথুরামান পঞ্চনাথনের কথায়, ‘‘এনএসএফ-এর ইনোই সোলার টেলিস্কোপ হল বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী সৌর টেলিস্কোপ যা আমাদের সূর্যের অজানা তথ্য অন্বেষণ করতে এবং পৃথিবীর সবচেয়ে কাছের এই নক্ষত্র সম্পর্কে চিরাচরিত ধ্যানধারণা চিরতরে পরিবর্তন করে দেবে। এমনকী এটি  সৌর ঝড়ের মতো ঘটনার পূর্বাভাস দিতেও প্রস্তত৷’’ 

পৃথিবীর সঙ্গে তার নক্ষত্রের একটি গভীর সম্পর্ক রয়েছে। দেখা গিয়েছে, সাম্প্রতিক কালে সূর্য বিশেষভাবে সংবেদনশীল হয়ে উঠছে৷ সৌরপৃষ্ঠে অগ্ন্যুৎপাত হয়েছে৷ যা একটি সুন্দর অরোরা তৈরি করতে পারে৷ তবে একইসঙ্গে এটি মহাকাশযান এবং উপগ্রহগুলির ক্ষতিসাধনও করতে পারে৷