সূর্যের অজানা রহস্য উন্মোচনে কুয়াফু-১ স্যাটেলাইট পাঠাল চিন

সূর্যের অজানা রহস্য উন্মোচনে কুয়াফু-১ স্যাটেলাইট পাঠাল চিন

কলকাতা: সূর্যের রহস্যভেদে সদা তৎপর বিজ্ঞানীরা৷ পৃথিবীর সবচেয়ে কাছের নক্ষত্রের আজানা তথ্য তলাশে এবার একটি নতুন অবজারভেটরি লঞ্চ করল চিন৷ যা সূর্যের আরও খুঁটিনাটি তথ্য পৌঁছে দেবে বিজ্ঞানীদের কাছে। নির্মীয়মান মহাকাশ স্টেশনে সফলভাবে একীভূত করে এবং চন্দ্র মিশনের পরবর্তী পর্যায় অনুমোদনের পর স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণ করেছে শি জিনপিংয়ের দেশ। অ্যাডভান্সড স্পেস-বেসড সোলার অবজারভেটরি (ASO-S) লং মার্চ-২ডি রকেটে চালু করা হয়। এই উপগ্রহটির নামকরণ করা হয়েছে কুয়াফু-১ (Kuafu-1)৷ চিনা পুরাণ অনুসারে এটি একটি দৈত্যের নাম৷ ওই পুরাণে কথিত আছে, কুয়াফু নামের এক দৈত্য নাকি তাড়া করেছিল সূর্যকে৷ 

আরও পড়ুন- প্রলয়ঙ্কর ঝড় উঠেছে সূর্যে, একের পর এক বিস্ফোরণ, আগুনে ঝলসে যাচ্ছে শুক্র

কুয়াফু-১ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের তাৎপর্য-

১) কুয়াফু-১ স্যাটেলাইটটি পৃথিবী থেকে প্রায় ৭২০ কিলোমিটার উপরে একটি কক্ষপথে প্রবেশ করানো হয়েছে।

২) অবজারভেটরিটি আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের কক্ষপথের চেয়ে উঁচুতে স্থাপিত হয়েছে।

৩) স্যাটেলাইটটি কক্ষপথে স্থাপনের পর ছয় মাস ধরে কমিশনিং পর্ব চলবে। এরপর শুরু হবে বিজ্ঞান-ভিত্তিক কার্যক্রম৷ 

৪) এই উপগ্রহটি সৌর চৌম্বক ক্ষেত্র, করোনাল ভর ইজেকশন এবং সৌর শিখার মধ্যে কার্যকারণ পরীক্ষা করবে।

৫) এই স্যাটেলাইটে রয়েছে লাইম্যান-আলফা সোলার টেলিস্কোপ (LST), ফুল-ডিস্ক ভেক্টর ম্যাগনেটোগ্রাফ (FMG) এবং হার্ড এক্স-রে ইমেজার (HXI)৷ 

৬) এএসও-এস বছরের বেশিরভাগ সময় প্রতিদিন ২৪ ঘন্টা সূর্যের অনুসন্ধান করতে সক্ষম। মে থেকে অগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিন পৃথিবীর ছায়ার মধ্য দিয়ে চলার সময় এর দীর্ঘতম দৈনিক সময়কাল ১৮ মিনিটের বেশি নয়।

কুয়াফু-১ সম্পর্কে কিছু জরুরি তথ্য- 

১) কুয়াফু-১ বছরের ৯৬ শতাংশ দিন কাজ করবে৷ যেহেতু এটি গ্রহের বাইরে রাখা হয়েছে, তাই পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল দ্বারা প্রভাবিত হবে না।

২) নাসার পার্কার সোলার প্রোবের পর সূর্যের রহস্য ভেদে এটি চতুর্থ বড় মিশন।

৩) এই স্যাটেলাইটটি চার বছর পরিষেবা প্রদানের জন্য তৈরি করা হয়েছে এবং এই মিশনটি প্রতিদিন প্রায় ৫০০ গিগাবাইট ডেটা ফিরিয়ে দেবে।

৪) মহাকাশযানটি সূর্যের গোপনীয়তা এবং নতুন বৈশিষ্ট্যগুলি উদঘাটন করবে৷  

ভারতও সূর্যের উদ্দেশ্যে একটি মিশন চালু করার পরিকল্পনা করছে৷ আদিত্য এল-১ মিশনটি পরের বছর চালু হবে।