স্টকহোম: চিকিৎসা ও পদার্থ বিজ্ঞানের পর এবার রসায়নে নোবেল প্রাপকদের নাম ঘোষিত হল। জিন প্রযুক্তির অন্যতম ধারালো অস্ত্র- CRISPR/Cas9 জেনেটিক সিজার আবিষ্কারের জন্য দুই বিজ্ঞানী নোবেল পেতে চলেছেন। এটি জিন সম্পাদনার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এমানুয়েল চার্পিনিয়ার এবং জেনিফার এ দৌদনাকে জিন প্রযুক্তির এই উপায় আবিষ্কারের জন্য নোবেল পুরস্কার দেওয়া হবে বলে বুধবার জুরি বোর্ডের তরফে জানানো হয়েছে।
নোবেল কমিটির এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “এগুলি ব্যবহার করে গবেষকরা অত্যন্ত উচ্চ নির্ভুলতার সাহায্য প্রাণী, উদ্ভিদ এবং অণুজীবের ডিএনএ পরিবর্তন করতে পারেন। এই প্রযুক্তিটি জীবন বিজ্ঞানে বৈপ্লবিক প্রভাব ফেলেছে। ক্যান্সারের চিকিৎসায় নতুন অবদান রাখছে এবং উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত রোগ নিরাময়ের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে পারে এই প্রযুক্তি।”
১৯৬৪ সালে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে জন্মগ্রহণ করেন জেনিফার দৌদনা। তিনি বার্কলের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। অন্যদিকে এমানুয়েল চার্পেটিয়ার ১৯৬৮ সালে ফ্রান্সের জুভিসি-সুর-ওরেজে জন্মগ্রহণ করেন। জার্মানির বার্লিনে ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক ইউনিট ফর দ্য সায়েন্স অফ প্যাথোজেনসের ডিরেক্টর তিনি।
রসায়নের নোবেল পুরস্কার সুইডেনের স্টকহোম দ্য রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অফ সায়েন্সেস প্রদান করে। সোমবার নোবেল কমিটি চিকিৎসা বিজ্ঞান ও মঙ্গলবার পদার্থ বিজ্ঞানে এ বছর কারা নোবেল পাচ্ছেন, তার ঘোষণা করে। ২০১৯ সালে রসায়নের নোবেল পুরস্কার পান জন গুডেএনাফ, এম স্ট্যানলি হুইটিংহাম এবং আকিরা যোশিনো। লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির উন্নয়নের জন্য” নোবেল পুরস্কার পান তাঁরা। ওয়েবসাইট তাঁদের কৃতিত্ব তালিকাভুক্ত করে এবং বলে, “তাঁদের কাজের মাধ্যমে তাঁরা একটি ওয়্যারলেস এবং জীবাশ্ম জ্বালানী মুক্ত সমাজের জন্য সঠিক পরিস্থিতি তৈরি করেছে এবং তার ফলে মানবজাতির পক্ষে সর্বাধিক উপকার হয়েছে।” এই পুরষ্কারের অন্যান্য প্রাক্তন বিজয়ীদের মধ্যে রয়েছে মেরি কুরি, আর্নেস্ট রাদারফোর্ড, জ্যাক ডুবোচেট এবং ডরোথি ক্রোফুট হজককিন।