যোধপুর: কয়েক বছর আগে পর্যন্ত তাঁদের নিয়ে মাথাব্যথা ছিল না রাজনৈতিক দলগুলির। কিন্তু, সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পাকিস্তান থেকে আগত যোধপুরের হিন্দুরা বিভিন্ন দলের গুরুত্বপূর্ণ ভোটব্যাঙ্কে পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে এবারের লোকসভা ভোটে এই হিন্দু সম্প্রদায়কে টার্গেট করেই ইস্তাহার তৈরি করেছে রাজনৈতিক দলগুলি। আর তাতেই নতুন মাত্রা পেয়েছে যোধপুরের ভোটযুদ্ধ।
পাকিস্তান থেকে আগত হিন্দুদের জন্য একটি চ্যারিটি চালান হিন্দু সিং সোডা। তিনি বলেন, যোধপুরে সংশ্লিষ্ট সম্প্রদায়ের প্রায় ২০ হাজার যোগ্য ভোটার রয়েছেন। বারমের, জয়সালমির ও বিকানিরের মতো রাজস্থানের অন্যান্য জেলায় পাকিস্তানি হিন্দুদের সেই সংখ্যা প্রায় পাঁচ লক্ষ। তাঁদের মধ্যে দু’লাখ ব্যক্তিকে ভারতীয় নাগরিকত্ব দিয়েছে সরকার। নিয়ম অনুযায়ী, পাকিস্তান থেকে আগত এই হিন্দুরা সাত বছর এদেশে বসবাসের পরই ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন। ততদিন পর্যন্ত তাঁদের মেয়াদ বাড়ানো ভিসায় বসবাস করতে হয় বলে জানিয়েছেন সোডা।
দীর্ঘদিন ধরে এই মানুষগুলো মৌলিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত। পান না পানীয় জল বা বিদ্যুতের মতো ন্যূনতম সুবিধা। বাস করতে হয় অস্থায়ী ক্যাম্পে। সাপ, বিছের কামড়, মাথায় ছাদ না থাকা এই মানুষগুলোর নিত্যদিনের সঙ্গী। কারণ, ঝোপ-ঝাড়ের মধ্যেই গজিয়ে ওঠে তাঁদের চির-অস্থায়ী তাঁবু। সোডার কথায়, ‘এঁদের কাছে দেশভাগের পর্ব এখনও শেষ হয়নি। নিপীড়ন, নির্যাতন থেকে পালিয়ে বেড়ালেও জোটেনি সাধারণ সুবিধাটুকুও। ভারতীয় নাগরিকত্বের প্রমাণপত্র হাতে পাওয়ার পর তাঁরা এবার ভোটাধিকার পাবেন এবং সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাবেন।’