নয়াদিল্লি: হলফনামা জমা দিয়ে নিজের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির খতিয়ান তুলে ধরলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ আজ, সকালে বারাণসী লোকসভা কেন্দ্রে ভোটে লড়াইয়ের জন্য মনোনয়ন জমা দিলে প্রধানমন্ত্রী৷ তাতেই তাঁর সম্পত্তির হিসেব-নিকেশ প্রকাশ করেছেন মোদি৷
হলফনামায় মোদি জানিয়েছেন, গত অর্থবর্ষে তাঁর আয় ১৯ লক্ষ ৯২ হাজার ৫২০ টাকা৷ ২০১৩-১৪ আর্থিক বছরে মোদির আয় ছিল ৯ লক্ষ ৬৯ হাজার ৭১১ টাকা৷ চার বছরে তাঁর বার্ষিক আয় বেড়েছে প্রায় দশ লক্ষ টাকা৷ সরকারের থেকে পাওয়া বেতন ও ব্যাংক থেকে পাওয়া সুদ থেকেই তিনি গত বছরে ১৯ লক্ষ ৯২ হাজার ৫২০ টাকা উপার্জন করেছেন৷
নরেন্দ্র মোদীর মোট সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় আড়াই কোটি টাকা। এর মধ্যে অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ১ কোটি ৪১ লক্ষ ৩৬ হাজার ১১৯ টাকা। তাঁর স্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ১ কোটি ১০ লক্ষ টাকা৷ ৩১ মার্চ, ২০১৯ পর্যন্ত মোদির হাতে নগদের পরিমাণ ছিল ৩৮ হাজার ৭৫০ টাকা৷ অস্থাবর সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে, ব্যাংকে জমা ৪ হাজার ১৪৩ টাকা৷ ব্যাংকে ১ কোটি ২৭ লক্ষ ৮১ হাজার ৫৭৪ টাকার একটি ফিক্সড ডিপোজিটও রয়েছে মোদির৷ ২০ হাজার টাকা একটি বন্ডও কেনা রয়েছে মোদির৷ ৭ লক্ষ ৬১ হাজার ৪৬৬ টাকা মূল্যের একটি এনএসসিও আছে৷ জীবনবিমা রয়েছে ১ লক্ষ ৯০ হাজার ৩৪৭ টাকার৷ ১ লক্ষ ১৩ হাজার ৮০০ টাকা মূল্যের চারটি সোনার আংটি রয়েছে মোদির৷ মোদির নামে নেই কোনও কৃষিজমি৷ গুজরাটের গান্ধীনগরে একটি বসতবাড়ি রয়েছে৷ ১ লক্ষ ৩০ হাজার ৪৮৮ টাকা খরচ করে ২০০০ সালের ২৫ অক্টোবর ওই জমি কেনেন। এখন ওই বাড়ির বাজার দর ১ কোটি ১০ লক্ষ টাকা৷ মোদির সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে দেখিয়েছেন আমেদাবাদের গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ পাস৷
গত লোকসভা নির্বাচনে মোদি হলফনামায় জানিয়েছিলেন, তাঁর কাছে সেই মুহূর্তে ছিল নগদ ৪৮,৯৪৪ টাকা৷ মোদির নামে রয়েছে দু’টি এসবিআই অ্যাকাউন্ট৷ একটিতে রয়েছে ১ কোটি ০৭ লক্ষ ৯৬ হাজার ২৮৮ টাকা৷ অন্যটিতে আছে ১১লক্ষ ২৯হাজার ৬৯০ টাকা৷ রয়েছে বিনিয়োগ৷ তার পরিমাণ প্রায় ৫ লক্ষ ১৮ হাজার ২৩৫ টাকা৷ ১ লক্ষ ৫৯ হাজার ২৮১ টাকার জীবনবীমাও আছে মোদির নামে৷ রয়েছে ৪টি সোনার আংটি৷ মূল্য প্রায় ১লক্ষ ৩৮ হাজার ০৬০ টাকা৷ একটি বাড়ির আংশিক মালিকানা রয়েছে নরেন্দ্র মোদির নামে৷
নির্বাচনের সময় নিজের স্ত্রী বা স্বামীর সম্পত্তির হিসেব দেওয়া বাধ্যতামূলক। তাই গত লোকসভা ভোটে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় স্ত্রী যশোদাবেনের কথা প্রথম উল্লেখ করেন মোদী। সরকারে আসার পরে তিন বছর ধরে সম্পত্তির খতিয়ান দেওয়ার সময়েও স্ত্রীর নাম উল্লেখ করছেন তিনি। তবে তাঁর সম্পত্তির বিষয়ে কোনও উল্লেখ থাকছে না। সেই জায়গায় মোদী লিখছেন, ‘‘জানা নেই।’’