নয়াদিল্লি: রোহিতশেখর তেওয়ারির খুনের মামলায় চাঞ্চল্যকর মোড়। বুধবার রোহিতের আইনজীবী স্ত্রী অপূর্বাকে গ্রেপ্তার করল দিল্লি পুলিস। জেরায় স্বামীকে খুনের কথা পুলিসের কাছে স্বীকার করেছেন অপূর্বা। দিল্লি পুলিসের এক অফিসার জানান, রোহিতের সঙ্গে বিবাহিত জীবনে খুশি ছিলেন না অপূর্বা। অশান্তি লেগেই থাকত। তার জেরেই খুনের এই ঘটনা।
প্রয়াত প্রবীণ কংগ্রেস নেতা এন ডি তেওয়ারির ছেলে ছিলেন রোহিত। কিন্তু রোহিত যে তাঁর ছেলে, মানতে রাজি ছিলেন না এই কংগ্রেস নেতা। দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর ২০১৪ সালে ডিএনএ পরীক্ষায় রোহিতের দাবি প্রমাণিত হয়েছিল। পরে রোহিতের মা উজ্জ্বলাকে বিয়েও করেন এন ডি তেওয়ারি। সপ্তাহ খানেক আগে রোহিতের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা শোরগোল ফেলে দেয়।
অটোপ্সি রিপোর্টে বলা হয়, ১৫ এপ্রিলের রাতে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় তাঁকে। অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ) রাজীব রঞ্জন এদিন বলেন, ঘটনার রাতে এক আত্মীয়কে কেন্দ্র করে অশান্তি হয়েছিল রোহিত ও অপূর্বার মধ্যে। উত্তরাখণ্ড থেকে দিল্লি আসার সময় গোটা রাস্তায় মদ্যপান করেন রোহিত। প্রতিরোধ করার মতো অবস্থায় তিনি ছিলেন না। বাড়ি ফিরে দু’জনের মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। রোহিতকে শ্বাসরোধ করে খুন করেন অপূর্বা। রাজীব রঞ্জনের আরও বক্তব্য, রোহিত ও অপূর্বার দাম্পত্য জীবন সুখের ছিল না। অশান্তি লেগেই থাকত। জেরায় সব কিছু স্বীকার করেছেন অপূর্বা। এখনও পর্যন্ত যতদূর বোঝা যাচ্ছে, খুনের এই ঘটনা পরিকল্পিত ছিল না। তবে অপরাধ ঘটার মতো পরিস্থিতি আগে থেকেই তৈরি হয়েছিল। এমনকী বিচ্ছেদের কথাও ভাবছিলেন রোহিত। অপূর্বার মনে হতে শুরু করে, তাঁর বিবাহিত জীবন শেষের পথে।