ত্রিপুরা: ভোট পরিচালনায় নারীরাই কি বেশি দক্ষ? লোকসভা নির্বাচনে প্রথম দফার ভোট গ্রহণ শেষে ত্রিপুরায় এ প্রশ্নই বড় হয়ে উঠে আসছে। কারণ, সম্পূর্ণ নারী পরিচালিত বুথগুলির বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত কোনও রাজনৈতিক দলের তরফে অভিযোগ জানানো হয়নি৷
পিঙ্ক বা গোলাপি বুথ। এই গোলাপি বুথের অর্থ, এই বুথের পরিচালোনায় রয়েছেন নারীরা৷ ভোটের প্রিসাইডিং অফিসার থেকে ভোটকর্মী, এমনকি নিরাপত্তারক্ষীরাও মহিলা৷ ভোট পরিচালনায় নারী হাতে দায়িত্ব থাকলেও ভোটারদের মধ্যে কিন্তু লিঙ্গভেদ নেই। পুরুষ, নারী, এমনকি তৃতীয় লিঙ্গের ভোটাররাও গোলাপি বুথে ভোট দিতে পারেন। সদ্য সমাপ্ত পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভা কেন্দ্রে এবার ব্যাপক গোলমালের অভিযোগ ওঠে৷ দুই বিরোধী দল কংগ্রেস ও সিপিএম নতুন করে ভোটের দাবি জানিয়েছে৷
রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক শ্রীরাম তরণীকান্ত নিজেও বেশ কয়েক জায়গায় অনিয়মের অভিযোগ মেনেও নিয়েছেন। তবে নতুন করে ভোট হবে কি না, সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে জাতীয় নির্বাচন কমিশন৷ পশ্চিম ত্রিপুরায় ৩০টি গোলাপি বুথ ছিল৷ ১১ এপ্রিল প্রথম দফার ভোটে। দেখা গিয়েছে, এই ৩০টি বুথে কোনো অভিযোগ নেই৷ রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক ভূয়সী প্রশংসা করেন মহিলা কর্মীদের। শুধু তাই নয়, এই ৩০টি বুথে নিযুক্ত কর্মীদের ২৩ এপ্রিল পূর্ব ত্রিপুরায় দ্বিতীয় দফার ভোটে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন৷ উত্তর-পূর্ব ভারতের মণিপুর ও মিজোরামে মহিলা ভোটারের সংখ্যা পুরুষদের থেকে বেশি। তবে মহিলাদের সংসদীয় রাজনীতিতে অংশগ্রহণের হার খুব কম৷ ত্রিপুরায় অবশ্য দুটি আসনের ভোটে কংগ্রেস ও বিজেপি একজন করে মহিলা প্রার্থী দিয়েছে। পশ্চিম ত্রিপুরায় লড়ছেন বিজেপির প্রতিমা ভৌমিক। আর পূর্ব ত্রিপুরায় কংগ্রেসের ‘মহারানি’ প্রজ্ঞা দেববর্মণ৷