কলকাতার ধর্না প্রত্যাহার করে দিল্লিতে পরবর্তী কর্মসূচির ঘোষণা

কলকাতা: তিন দিনের মাথায় কলকাতার ধর্না প্রত্যাহার করলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ কলকাতার ধর্না প্রত্যাহার করে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে দিল্লিতে পরবর্তী কর্মসূচির ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর৷ মেট্রো চ্যানেলের ধর্না তুলে নেওয়া হলেও আগামী ১৩ এবং ১৪ ফেব্রুায়রি দিল্লিতে ফের এই একই কর্মসূচি নেওয়া হবে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী৷ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ছ’টা নাগাদ টিডিপি নেতা চন্দ্রবাবু নায়ুডু, তেজস্বী যাদবের সঙ্গে

কলকাতার ধর্না প্রত্যাহার করে দিল্লিতে পরবর্তী কর্মসূচির ঘোষণা

কলকাতা: তিন দিনের মাথায় কলকাতার ধর্না প্রত্যাহার করলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ কলকাতার ধর্না প্রত্যাহার করে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে দিল্লিতে পরবর্তী কর্মসূচির ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর৷

মেট্রো চ্যানেলের ধর্না তুলে নেওয়া হলেও আগামী ১৩ এবং ১৪ ফেব্রুায়রি দিল্লিতে ফের এই একই কর্মসূচি নেওয়া হবে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী৷ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ছ’টা নাগাদ টিডিপি নেতা চন্দ্রবাবু নায়ুডু, তেজস্বী যাদবের সঙ্গে বৈঠকের পর মেট্রো চ্যানেলের থেকে ধর্না তুলে নেওয়ার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী৷ এই ধর্না তুলে নেওয়া হলেও গণতন্ত্র বাঁচাতে চলবে তাঁদের এই কর্মসূচি৷ এদিন মমতা বলেন, ‘‘আদালতের রায়ে আমাদের জয় হয়েছে৷ এই জয় গণতন্ত্রের৷ যতক্ষণ না পর্যন্ত বিজেপি সরকারের পতন হচ্ছে, ততক্ষণ আমরা এই কর্মসূচি চালিয়ে যাব৷’’

রবিবার রাতে সিঙ্গুরের ‘আমরণ অনশনে’র স্মৃতি উসকে ‘সংবিধান রক্ষায়’ রাজপথে ধর্নায় বসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সিঙ্গুরে জোর করে জমি কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ তুলে ৪ ডিসেম্বর ২০০৬ সালে তৎকালীন বিরোধী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধর্মতলায় মেট্রো চ্যানেলে বিশাল মঞ্চ বেঁধে ‘আমরণ অনশনে’ বসেছিলেন৷ সেই অনশন চলেছিল পঁচিশ দিন৷ এবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসে ‘সংবিধান বাঁচাতে’ কলকাতার রাজপথে ধর্নায় বসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷

রবিবার তৃণমূলের নেতামন্ত্রীদের সঙ্গে প্রশাসনিক শীর্ষ কর্তাদের পাশে বসিয়ে মেট্রো চ্যানেলে খোলা আকাশের নীচে বসে পড়েন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ রবিবার রাজীব কুমারের বাঙলোয় দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা, ‘‘আমি এর বিহিত চাই৷ আমি সংবিধান বাঁচাতে এই ধর্নায় বসব৷’’ তৃণমূলের তরফে আগেই এই কর্মসূচির ঘোষণা করে দেন সাংসদ ডেকের ওব্রায়েন৷

রবিবার গোটা দেশকে স্তব্ধ করে সাংবিধানিক সংকট থেকে রক্ষা করার জন্য রাত থেকে ধরনায় বসে পড়লেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ জানিয়ে দেন, ‘‘আমি সংবিধান বাঁচাতে ধরনায় বসতে চলেছি৷ দেশে জরুরি অবস্থার থেকেও ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে৷ গব্বরি কায়দায় সব কব্জা করতে চাইছে৷ তাই এই ধরনা৷ এই ধরনা মানে সত্যাগ্রহ৷’’

রবিবার সন্ধ্যায় কোনও বৈধ নথি ছাড়াই রাজীব কুমারের বাড়িতে যায়৷ আর তার জেরেই সিবিআই আধিকারিকদের আটক করে কলকাতা পুলিশ৷ পরে তাঁদের মুক্তি দেওয়া হয়৷ সেক্সপিয়র সরণি থানার মধ্যে সিবিআই আধিকারিকদের নিয়ে যাওয়া হয়৷ সিবিআই আধিকারিক তথাগত বর্ধনকে রাস্তা থেকে টেনে হেঁচড়ে পুলিশের গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়৷ রাজীব কুমারের বাড়ির সামনে যে আধিকারিকরা ছিলেন, তাঁদের সেক্সপিয়র সরণি থানার তুলে নিয়ে আনা হয়৷ পার্কস্ট্রিট থানা থেকেও সিবিআই আধিকারিকদেরও সেক্সপিয়র সরণি থানায় নিয়ে যাওয়া হয়৷ সিবিআই আধিকারিকদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে কি না তা পুলিশের তরফে জানানো হয়নি৷ কেন তাঁদের রাস্তা থেকে টেনে হেঁচড়ে কেন পুলিশের গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হল, তাও পুলিশের তরফে জানানো হয়নি৷ এদিনের এই উত্তপ্ত পরিস্থিতির খবর পেয়ে রাজীব কুমারের বাড়িতে যান মুখ্যমন্ত্রী৷ এডিজি আইনশৃঙ্খলা রাজীব কুমারের বাড়িতে যান৷ পৌঁছান মেয়র ফিরহাদ হাকিম৷ সেখান থেকেই বিজেপিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন মমতা৷ সংবিধান বাঁচাতে ধর্নায় বসার কথা ঘোষণা করেন তিনি৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

18 − 14 =