আজ বিকেল: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গতবছর শহিদ দিবসের দিনই ধর্মতলার সভা থেকে বলেছিলেন আসছে বছর ২০১৯ হবে বিয়াল্লিশে বিয়াল্লিশ। বিজেপি বাংলা থেকে একটিও আসন পাবে না। তারপর গঙ্গে থেকে অনেক জল গড়িয়েছে। সৌমিত্র খান, অনুপম রায়ের মতো সাংসদরা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। তৃণমূলের দোর্দণ্ডপ্রতাপ বিধায়ক অর্জুন সিংও একই পথের পথিক হলেন।
আরও পড়ুন: ভোটের হিংসা দমনে কতটা সফল নির্বাচন কমিশন? জলে গেল ৫০ হাজার কোটি টাকা?
নাহলে আজকের দিনে মদনবাবুকে কাঁকিনাড়ার রাস্তায় ঘেমেনেয়ে ছুটতে হয়। রাজনৈতিক পালাবদল কেন্দ্রে আদৌ হবে কিনা তা ২৩ মে রাতে বোঝা যাবে। বাংলায় যে বিজেপি প্রধান বিরোধী দের জায়গাটা পাকা করে নেবে এবিষয়ে সন্দেহের অবকাশ খুব কম লোকজনই রাখছেন। এক অতিবড় তৃণমূল সমর্থক ছাড়া প্রায় প্রত্যেকেরই দাবি বিয়াল্লিশে বিয়াল্লিশ এক কথায় অসম্ভব। কর্মসংস্থান ইস্যুতে মমতার ভোট কমবে। কেউ কেউ মুসলিম তোষণ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। সারদা, নারদ, রাজীব কুমার, বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার ঘটনাটি ব্যুমেরাং হয়ে তৃণমূলের দিকে ফিরতে পারে বলে অনেকেই মনে করছেন।
কে গড়বে দেশের সরকার? কী বলছে জনমত সমীক্ষা?
এদিকে শেষ মুহূর্তের প্রচারে মোদিকে চোর থেকে চৌকিদার, মিথ্যেবাদি, থেকে এক্সপায়েরি বাবু কিছু বলতেই বাদ রাখেননি মমতা। একইভাবে মোদিও দিদিকে স্পিড ব্রেকার, স্টিাকার দিদি, বুয়া ভাতিজার রাজ চলছে বাংলায়। সৌজন্যের রাজনীতির ছিটেফোটা উদাহরণও দেখা যায়নি প্রচারের ক্ষেত্রে। বিজেপর দাবি ভোটের নামে সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে তৃণমূল, আবার তৃণমূলের দাবি ধর্মীয় বিভাজন টেনে বাংলার মাটিতে দাঙ্গা বাধানোর চেষ্টা করছে বিজেপি। এর মাঝেই আজ বিকেলের তরফে মমতার বিয়াল্লিশে বিয়াল্লিশ আদৌ সম্ভব কি না তা জানতে চাওয়া হয়। পাঠকদের মন্তব্যই এখানে শেষ কথা।চলুন কে কী বললেন একবার দেখে নেওয়া যাক।
যোগীর রাজ্যে কেমন হবে বিজেপির ফলাফল? কী বলছে জনমত সমীক্ষা
প্রশান্ত সিংহ জানিয়েছেন, বিয়াল্লিশ হবে না। তবে তৃণমূল ১৭টিআসন পাবে, বিজেপিরদখলে যাবে বাংলার ২০টি আসন। বাকিরা পাবে পাঁচটি। উজ্জ্বল দানও বিয়াল্লিশে বিয়াল্লিশ আশা করছেন না। তাঁর মতে এবার তৃণমূলের আসন কমতে চলেছে ২৫টির মতো আসন নিজের দখলে রাখতে পারবে রাজ্যের শাসকদল।উতপলপাত্রের মতে ৪২ না হলেও সংখ্যাগরিষ্ঠতায় এগিয়ে থাকবে তৃণমূল, ৩৬টি আসন পেতে পারে। সনজিত রায় বলেছেন, ১৭টি আসন তৃণমূলের দখলে থাকতে পারে, বাকিগুলি হাতছাড়া হবে। ২২ থেকে ২৬টি আসন পাবে তৃণমূল এমনটাই মত পাঠক শংকর সামন্তের।সহমত প্রকাশ করেছেন মহম্মদ হাবিবুল্লাহ। পাঠক পার্থপ্রতিম গুহও মনে করেন মমতার টার্গেট লোকসভা ভোটে পূরণ হচ্ছে না। একমাত্র সুমন রহমান মনে করেন, বাংলার মানুষ দিদিকে বিশ্বাস করে বিয়াল্লিশে বিয়াল্লিশ করেই দেবে। সুমনবাবুর মতো জনা পাঁচেক পাঠক ছাড়া বেশিরভাগেরই দাবি দিদি নিজেই জানেন ৪২টি আসন পাওয়া সম্ভব নয়।
গোটা সমীক্ষাটি পাঠকের মতামতের ভিত্তিতে তুলে ধরা হয়েছে৷ ধন্যবাদ পাঠক, গুরুত্বপূর্ণ মতামত দেওয়ার জন্য৷