নয়াদিল্লি: রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির অভিযোগ তুলে দিল্লি দরবারে যাচ্ছে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব৷ জিয়াগঞ্জে সপরিবারে শিক্ষক খুনের প্রসঙ্গ তুলে রাজ্যের পরিস্থিতি জানাতে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের দ্বারস্থ হচ্ছেন বিজেপির নেতারা৷ রাজ্যে আইনশৃঙ্খলার অবনতির অভিযোগে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে বিজেপির অবস্থান বিক্ষোভ ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা৷
শনিবার গান্ধী মূর্তির পাদদেশে বিজেপির অবস্থান বিক্ষোভ মঞ্চ থেকে বিজেপি নেতা মুকুল রায় দাবি করেন, ‘‘জিয়াগঞ্জে খুন হওয়া শিক্ষক বিজেপি কর্মী৷ কিন্তু, তৃণমূল নেত্রী বলবেন, শিক্ষকের সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই৷ আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছে, খুন হওয়া শিক্ষক বিজেপি কর্মী৷’’ মুর্শিদাবাদে জিয়াগঞ্জে শিক্ষক খুন থেকে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর ও অপর্ণা সেন যে মন্তব্য করেছেন, তা ঠিক৷ তিনি তাঁদের মন্তব্যকে সমর্থন করেন বলেও দাবি জানিয়েছেন মেঘালয়ের রাজ্যপাল তথাগত রায়ের৷ পাল্টা কটাক্ষ করতে ছাড়েননি তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ জানিয়েছেন, মেঘালয়ের রাজ্যপাল সাংবিধানিক পদে থেকে রাজনৈতিক মন্তব্য করেছেন৷ নিজের রাজ্য না সামলে তিনি বাংলাকে নিয়ে কেন উদ্বেগ দেখাচ্ছেন?’’
অন্যদিকে, সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দিলীপ ঘোষ জিয়াগঞ্জে সপরিবারে শিক্ষক খুনের প্রসঙ্গে জানিয়েছে, ‘‘আমরা রাষ্ট্রপতি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছ থেকে সময় চেয়েছি৷ তাঁরা আমাদের সময় দিলে আমাদের প্রতিনিধিদল তাঁদের সঙ্গে দেখা করে বাংলার পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করবেন৷’’ সূত্রের খবর, আগামী ১৫ অক্টোবর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কৈলাস বিজয়বর্গীয়দের সাক্ষাৎ হওয়ার কথা রয়েছে বলে খবর৷ তার আগে আজ শনিবার গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধর্না কর্মসূচি রয়েছে বিজেপির৷ জাগি গিয়েছে, নবান্ন অভিযান কর্মসূচি নিয়েও ভাবনা চিন্তা করছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব৷ রাজ্যের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির অভিযোগ তুলে রাজ্যপাল কাছেও বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব যাবে বলে খবর৷
রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, অনেক দিন আগে থেকেই রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে৷ জিয়াগঞ্জে শিক্ষক পরিবারকে কুপিয়ে খুনের ঘটনা তার প্রমাণ৷ শুধু জিয়াগঞ্জ নয়, রাজ্যজুড়ে গত চারদিনে আটজন কর্মীকে খুন করা হয়েছে বলে দাবি তুলেছেন তিনি৷ রাজ্য প্রশাসন এখন দলদাসে পরিণত হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন দিলীপ ঘোষ৷ সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে গিয়ে রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি৷