কেন ভাঙল বাম-কংগ্রেস জোট? কী বলছে প্রদেশ নেতৃত্ব?

কলকাতা: প্রায় মাসব্যাপী চেষ্টা চালিয়েও শেষ রক্ষা হল না। জোট নাকি আসন সমঝোতা, এই নিয়ে চুলচেরা বিতর্কের শেষে, বামেদের বায়নাক্কা ভেস্তে দিল আসন্ন লোকসভা ভোটে রাজ্যের বিরোধী ঐক্য প্রক্রিয়া। মঙ্গলবার এমন দাবি তুলেছে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব। একতরফাভাবে ২৫ আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে বামেরাই দু’পক্ষের আলোচনার রাস্তায় বাধা তৈরি করেছিল বলে মনে করেন প্রদেশ কংগ্রেস

7e7f2f60dcdd93a917e06e3dce72344a

কেন ভাঙল বাম-কংগ্রেস জোট? কী বলছে প্রদেশ নেতৃত্ব?

কলকাতা: প্রায় মাসব্যাপী চেষ্টা চালিয়েও শেষ রক্ষা হল না। জোট নাকি আসন সমঝোতা, এই নিয়ে চুলচেরা বিতর্কের শেষে, বামেদের বায়নাক্কা ভেস্তে দিল আসন্ন লোকসভা ভোটে রাজ্যের বিরোধী ঐক্য প্রক্রিয়া। মঙ্গলবার এমন দাবি তুলেছে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব। একতরফাভাবে ২৫ আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে বামেরাই দু’পক্ষের আলোচনার রাস্তায় বাধা তৈরি করেছিল বলে মনে করেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতানেত্রীরা।

সোমবার গভীর রাতে কংগ্রেসের প্রথম তিন দফার ভোটের প্রার্থীর নাম ঘোষণার পর এদিন বামফ্রন্ট দ্বিতীয় দফায় তালিকা প্রকাশ করে। ফলে, চারটি আসন ছাড়া রাজ্যের ৩৮ আসনে চতুর্মুখী লড়াই অনিবার্য হয়ে উঠেছে। যার দায় আলিমুদ্দিনের উপর চাপিয়েছে বিধান ভবন।

গতবার জেতা সিপিএমের দু’টি আসন রায়গঞ্জ ও মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রে এবার কংগ্রেস প্রার্থী দেওয়ার দাবি জানানোয় শুরু হয় তরজা। উল্টোদিকে পুরুলিয়া, বসিরহাট যথাক্রমে ফরওয়ার্ড ব্লক ও সিপিআইয়ের মতো বাম শরিক চেয়ে বসায়, তা আরও জটিল আকার নেয়। দুই শিবিরের রাজ্য নেতাদের এই দাবি ও পাল্টা দাবিকে ঘিরে তৈরি হওয়া জট ছাড়াতে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী এবং সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি আলোচনায় বসেন। সেই জটিলতা কিছুটা প্রশমিত হতে না হতেই বামফ্রন্ট একতরফাভাবে ২৫ আসনের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে।

তখন বিতর্ক চরমে পৌঁছয়। বীরভূম আসনে কংগ্রেসের চিকিৎসক সেলের আহ্বায়ক ডাঃ রেজাউল করিমকে নির্দল প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করে দেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি রাতারাতি রেজাউলকে সাংগঠনিক পদ থেকে অপসারিত করেন। তাঁর অভিযোগ, কংগ্রেসের সদস্যকে নির্দল প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করে অনৈতিক কাজ করেছে বামেরা। দার্জিলিং আসন বামেরা কংগ্রেসকে ছাড়লেও, কে তাদের প্রার্থী হবে, তা বামেদের মতামত নিয়ে করতে হবে বলে দাবি তোলেন রাজ্য বাম নেতারা। তাতে সোমেনবাবুরা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *