আমার সিঁদুর খেলা নিয়ে কেন এত মাতামাতি? বিদ্রোহ নুসরাতের

কলকাতা: তাঁকে ঘিরে কম বিতর্ক হয়নি৷ বিয়ের পর সেই বিতর্ক আরও বেড়েছিল৷ কপালে সিঁদুর, হাতে চুড় পরা ঘিরে তৃণমূল সাংসদ নুসরাত জাহানকে ঘিরে তৈরি হয়েছিল বিতর্ক৷ সেই বিতর্কে জল ঢেলে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছিলেন তিনি৷ এবার বিয়ের পর প্রথম দুর্গা মণ্ডপে গিয়ে অঞ্জলি দিয়েছেন সদ্যবিবাহিত নুসরাত জাহান৷ কিন্তু, শারদ আনন্দেও পিছু ছাড়েনি বিতর্ক৷ দুর্গামণ্ডপে সিঁদুর

কলকাতা: তাঁকে ঘিরে কম বিতর্ক হয়নি৷ বিয়ের পর সেই বিতর্ক আরও বেড়েছিল৷ কপালে সিঁদুর, হাতে চুড় পরা ঘিরে তৃণমূল সাংসদ নুসরাত জাহানকে ঘিরে তৈরি হয়েছিল বিতর্ক৷ সেই বিতর্কে জল ঢেলে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছিলেন তিনি৷ এবার বিয়ের পর প্রথম দুর্গা মণ্ডপে গিয়ে অঞ্জলি দিয়েছেন সদ্যবিবাহিত নুসরাত জাহান৷ কিন্তু, শারদ আনন্দেও পিছু ছাড়েনি বিতর্ক৷ দুর্গামণ্ডপে সিঁদুর পরে অঞ্জলি দেওয়াকে কেন্দ্র করে ফের নুসরাতকে ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক৷ এবার সেই বিতর্কে মুখ খুললেন অভিনেত্রী সাংসদ৷

বহুল প্রচারিত একটি সংবাদপত্রে অভিনেত্রী সাংসদ নুসরাত জাহান জানিয়েছেন, ‘‘আমার অঞ্জলি দেওয়া কিংবা সিঁদুর খেলা নিয়ে এত কেন মাতামাতি?’’ ধর্মের নামে বিভাজন প্রসঙ্গে নুসরতের মন্তব্য, ‘‘ধর্মের নামে মানুষে মানুষে বিভাজন আল্লাহ চান না৷ আমার বিশ্বাস, সমাজের যা কিছু ওপর থেকে চাপানো হয়৷ তৈরি হয় আচার-আচারণ৷ নীতি৷ আমি এর বিরুদ্ধে লড়াই করব৷ এটা আমার লক্ষ্য৷’’

সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোল হওয়ার ঘটনায় নুসরতের মন্তব্য, ‘‘ট্রোলের মাধ্যমে আমাকে নিয়ে যা খুশি তাই বলা হয়৷ এখন তো আমার হুমকি ফোন আসছে৷ আমার মনে হয়, যে কোনও অবস্থান থেকে মানুষ ঈশ্বরের আরাধনা করতে পারেন৷ সেটা বাড়ি কিংবা মন্দির বা মসজিদ হতে পারে৷ সর্বশক্তিমানের সৃষ্টি এই মানব সভ্যতা৷ আমি সেই সভ্যতা ও মানুষকে ভালবাসি৷ ঈশ্বরও আমায় ভালবাসবেন৷’’

অষ্টমীর সকালে সুরুচি সংঘের মণ্ডপে গিয়ে সপরিবারে অঞ্জলি দেন নুসরাত৷ লাল শাড়ি, দেহ ভর্তি অলংকার, কপালে সিঁদুর পরে নুসরাতকে দেখে চোখ ফেরাতে পারেননি স্থানীয়রা৷ মণ্ডপে নুসরাতকে দেখতে ভিড় জমাতে শুরু করেন আট থেকে আশি৷ তাঁকে ঘিরে ধরেন সংবাদমাধ্যমের কর্মীরা৷ অঞ্জলি দেওয়ার পর সংবাদ মাধ্যমে নুসরত জানিয়েছিলেন, তিনি প্রতি বছর অঞ্জলি দেন৷ এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি৷ তবে এবার নতুন মাত্রা পেয়েছে বটে৷ বিয়ের পর এটাই প্রথম দুর্গা অঞ্জলি বলেও জানিয়েছেন নুসরাত৷ লোকসভা নির্বাচনের পরপর ব্যবসায়ী নিখিল জৈনের সঙ্গে তুরস্কে গিয়ে বিয়ে করেন তৃণমূলের এই সংসদ৷ সংসদে শপথ নেওয়ার সময় নিজেকে নুসরাত জাহান রুহি জৈন বলে আখ্যা দেন৷ শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের বেগুনি শাড়ি, দুই হাতে মেহেন্দি, চুড়, একমাথা সিঁদুর নিয়ে প্রথম প্রকাশ্যে আসেন নুসরাত৷ আর তাঁকে ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয় বিতর্ক৷ অনেকেই বলতে থাকেন, নুসরাত কি তাহলে হিন্দু হয়ে গিয়েছেন? সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলের উত্তর দিয়েছেন তৃণমূলের অভিনেত্রী সাংসদ৷

সর্বভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমে নুসরাত জানিয়েছিলেন, আমিও আমার স্বামী, আমাদের ধর্ম পালন করছি৷ আমি জন্মসূত্রে ইসলাম৷ ইসলাম ধর্মকে অনুসরণ করছি৷ কিন্তু সব ধর্ম এবং তার নিয়মের প্রতি শ্রদ্ধা রয়েছে আমার৷ আমার কাছে এটাই স্বাভাবিক৷ কোন ধর্ম অনুসরণ করব, সেটা একান্ত অধিকার৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *