কেন দেওয়া যাবে না ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি? হাইকোর্টে দায়ের মামলা

কলকাতা: নির্বাচন পর্বের শুরুতেই বাংলার রাজনীতিতে উঠে এসেছিল ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি৷ কিন্তু, নির্বাচন শেষ হয়ে গেলও বাংলার রাজনীতির ময়দান ছাড়তে নারাজ ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান৷ তৃণমূল-বিজেপির রাজনৈতিক অবস্থানে বাংলায় বুকে এখন ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে ধর্মীয় এই স্লোগান৷ মুখ্যমন্ত্রীকে সরাসরি চ্যালেজ্ঞ জানিয়ে ‘জয় শ্রীরাম’ লেখা চিঠি পাঠানো হয়েছে৷ এই নিয়ে কম উত্তাল হয়নি বাংলা৷ এবার সেই জয়

7961b908299e1f4295e6ae8fb9a31cd0

কেন দেওয়া যাবে না ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি? হাইকোর্টে দায়ের মামলা

কলকাতা: নির্বাচন পর্বের শুরুতেই বাংলার রাজনীতিতে উঠে এসেছিল ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি৷ কিন্তু, নির্বাচন শেষ হয়ে গেলও বাংলার রাজনীতির ময়দান ছাড়তে নারাজ ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান৷ তৃণমূল-বিজেপির রাজনৈতিক অবস্থানে বাংলায় বুকে এখন ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে ধর্মীয় এই স্লোগান৷ মুখ্যমন্ত্রীকে সরাসরি চ্যালেজ্ঞ জানিয়ে ‘জয় শ্রীরাম’ লেখা চিঠি পাঠানো হয়েছে৷ এই নিয়ে কম উত্তাল হয়নি বাংলা৷ এবার সেই জয় শ্রীরাম বলার অধিকার চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হল জনস্বার্থ মামলা৷

সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, জয় শ্রীরাম ধ্বনি দিতে যারা বাধা দিচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক আদালত৷ বাংলায় জয় শ্রীরাম ধ্বনি দেওয়ার অধিকার চেয়ে আজ কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয়েছে মামলা৷ মামলাটি আদালতের তরফে গৃহীত  হয়েছে বলে খবর৷ তবে, পরবর্তী শুনানির দিনক্ষণ এখনও জানা যায়নি৷ কলকাতা হাইকোর্টের জনৈক আইনজীবী এই মামলা দায়ের করছেন বলে খবর৷ মামলাকারীদের অভিযোগ, বাংলায় জয় শ্রীরাম বললেই হয় পুলিশকে দিয়ে গ্রেপ্তারি করানো হচ্ছে, না হয় মারধর করা হচ্ছে৷ অবিলম্বে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পদক্ষেপ নিক আদালত৷

সম্প্রতি, জয় শ্রীরাম স্লোগান শুনে মেজাজ হারান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ নৈহাটি যাওয়ার পথে জয় শ্রীরাম স্লোগান শুনতেই গাড়ি থেকে মেনে রীতিমত বিজেপি কর্মীদের ধাওয়া করেন৷ গাড়ি থেকে নামেই পুলিশকে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী৷ বলেন, ‘‘নাকা চেকিং করো, বাড়ি টু বাড়ি নাকা চেকিং হবে৷ সবকটাকে ধরতে হবে৷’’

গাড়ি থেকে নেমে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আয় চলে আয়, আয় এদিকে আয়৷ …. ক্রিমিনাল৷ এখানে খাচ্ছে ধাচ্ছে, আর গুণ্ডামি করছে৷ বেঁচে আছো আমাদের জন্য৷ আমার গাড়িতে হামলা করতে আসছে৷ চামড়া গুটিয়ে রেখে দেব৷ আমাকে গালাগালি দিচ্ছে? বাংলাটাকে গুজরাট করতে দেব না৷ এর একটা সীমা থাকা উচিত৷’’ এরপরই পুলিশকে নির্দেশ দেন তিনি৷ ‘‘নাকা চেকিং করে, বাড়ি টু বাড়ি নাকা চেকিং হবে৷ সবকটাকে ধরতে হবে৷’’

এর আগে নিজের রাজ্যেই ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগানে বিব্রত হতে হয় মুখ্যমন্ত্রীকে৷ খড়গপুরে মমতাকে লক্ষ করে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান ওঠা চাঞ্চল্যকর ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল দুনিয়ায়৷ তৃণমূলের তরফে ভিডিও ‘বিকৃত’ বলে দাবি করা হলেও গোটা ঘটনার পূর্ণঙ্গ রিপোর্ট তলব করে নির্বাচন কমিশন৷ গত ৫ মে গাড়ি থেকে নেমে মমতাকে বলতে দেখা যায়, ‘কী রে পালাচ্ছিস কেন? সব হরিদাস কোথাকার!’

এই ঘটনার পর মুখ্যমন্ত্রী নিজের ফেসবুক পেজে জয় শ্রীরাম স্লোগান ইস্যুতে নিজের মন্তব্য প্রকাশ করেন৷ লেখেন, ‘‘রাজনৈতিক দলের স্লোগান থাকতেই পারে৷ তা নিয়ে আমার কোনও আপত্তি নেই৷ কিন্তু, যাঁরা ধর্মের সঙ্গে রাজনীতিকে মিশিয়ে ফেলছে, তাঁদের প্রতি আমার বিরোধীতা৷ বাংলায় হিংসা ছড়াতে ইচ্ছে করে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে৷ এটা বাংলার মানুষ রুখে দেবে৷’’ লেখেন, জয় সিয়া রাম কিংবা জয় রামজি কি থেকে রাম নাম সত্যা হ্যায়ের মতো স্লোগান ধর্মীয় ক্ষেত্রে ব্যবহার হয়৷ কিন্তু, বাংলায় ইচ্ছা করে ধর্মীয় স্লোগান ব্যবহার করা হচ্ছে রাজনৈতিক স্বার্থ৷ জোর করে আরএসএস বাংলার রাজনীতির সঙ্গে ধর্মকে মিশিয়ে দিচ্ছে৷ এর ফরে ঘৃণা ও হিংসার পরিবেশ তৈরি করার মরিয়া চেষ্টা করা হচ্ছে৷’’ এই বিষয়ে লিখতে গিয়ে সংবাদমাধ্যমকেও কাঠগড়ায় তোলেন মমতা৷ সেখেন, ‘‘বাংলায় ঘৃণার মতাদর্শ ছড়াতে উঠেপড়ে লেগেছে বিজেপি৷ বিজেপি প্রভাবিত সংবাদমাধ্যম ভুয়ো ভিডিও ও ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছে৷ আর তার জেরেই তৈরি করে বিভ্রান্তি৷ বাস্তব পরিস্থিতি চাপে দেওয়া হচ্ছে৷’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *