শিলিগুড়ি: কারা ভোটার তালিকায় নাম তুলতে পারবেন না, রাজ্য প্রশাসনকে সাফ জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ উত্তরবঙ্গের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে কোন কোন শর্তে কাদের কাদের নাম ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির করানো হবে ও কাদের ভোটার তালিকায় স্থান দেওয়া হবে না, তার বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেন মুখ্যমন্ত্রী৷ প্রশাসনের শীর্ষকর্তাদের কড়া নির্দেশ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, ‘ডবল ডবল ভোটার’ বরদাশ্ত করা হবে না৷
প্রশাসনিক বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী রাখঢাক না করে সাফ ঘোষণা করেন, ‘‘ভোটার লিস্ট শুরু হয়েছে৷ পুজোর জন্য আমাদের মুখ্যসচিব অনুরোধ করেছিলেন৷ সেই জন্য আবার একমাস বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে৷ ভোটার লিস্টটা দয়া করে ডিএলআরওরা যাঁরা আছেন অনেক সময় তাঁরা অফিসে বসেন না৷ যেটা আমাদের কাছে অভিযোগ এসেছে৷ লোক হ্যারাসমেন্ট হয়ে ঘুরে যাই৷ অনলাইনে এখন ভোটের তালিকার কাজ চলছে৷ কিন্তু, মনে রাখবেন সশরীরে আপনাকে পরীক্ষা করে দেখতে হবে৷ কেউ অনলাইনে ৫০টা নাম উত্তর প্রদেশ থেকে এসে তুলে দিল৷ সে উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা৷ এখানকার লোক নয়৷ এখানকার লোক উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা হলে করে দেব৷ মহারাষ্ট্র থেকে অনলাইনে কোউ কিছু করে দিল৷ এটা কিন্তু এত সস্তা হবে না৷ তাহলে ন’কোটি লোকটা হয়ে যাবে ১২কোটি৷ আসল লোক পাবে না৷ ভোটার লিস্ট আমাদের ভালোভাবে করতে হবে৷’’
বাংলার ভোটের তালিকা থেকে কাদের বাদ দেওয়া হবে? নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর
বাংলার ভোটের তালিকা থেকে কাদের বাদ দেওয়া হবে? নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর
Gepostet von Aaj Bikel আজ বিকেল am Dienstag, 22. Oktober 2019
এরপর মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘আমার বাংলায় হিন্দু মুসলিম সর্বধর্মের লোকের বসবাস রয়েছেন৷ কোনও সম্প্রদায়ের নাম, যারা বাংলায় থাকেন, রাজস্থানি আছে, গুজরাটি আছে৷ সবাই আছে৷ যারা বাংলায় থাকে, তাদের নাম যেন বাদ না যায়৷ আরও একটা কথা মাথায় রাখবেন৷ দেখবেন কেউ কেউ অন্য জায়গায় একবার নাম তুলে আসে৷ আবার এখানেও ডবল নাম এন্ট্রি করে৷ ডবল নাম যখন আপনারা এন্ট্রি করবেন তখন কম্পিউটারে ফেলে দেখে নেবেন৷ আমি বলছি না, বিহারের লোক এখানে অধিবাসী হতে পারবেন না৷ হতেই পারেন৷ যাঁরা বাংলায় থাকেন, তাঁদের নামটাই শুধুমাত্র উঠবে৷ কিন্তু, কেউ একজন কিষাণগঞ্জে ভোট দিচ্ছে৷ আবার ইসলামপুরে এসে ভোট দিচ্ছে৷ এটা কিন্তু ঠিক নয়৷ অসমে ভোট দিচ্ছে, আবার বাংলায় ভোট দিচ্ছে৷ এটা কিন্তু ঠিক নয়৷ এটা মাথায় রাখতে হবে৷ আমি এটা বললাম, তার কারণ নানারকম ছলনা তো চলছে৷ সরকারি অনুষ্ঠানে দায়িত্ব নিয়ে বলছি, এটা প্রশাসনিক বৈঠক৷ সমস্ত আধিকারিকরা এখানে আছেন৷ এখানে এনআরসি করার পরিকল্পনা আমাদের নেই৷ আমি যখন বলছি তখন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে বলছি৷’’