২০১৯-এ পাহাড়ের জিতছে কে, দিন গুনছে দার্জিলিং

আজ বিকেল: এদিন দ্বিতীয় দফার ভোটে জেগে উঠল পাহাড়। দার্জিলিংয়ে ভূমিপুত্র অমর সিং রাইকে প্রার্থী করে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশ নিল তৃণমূল।প্রচারের সময় থেকে বার বার বাইরের বিজেপি প্রার্থীকে নিয়ে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল নেত্রী। রাজু বিস্ত জয়ের আত্মবিশ্বাস দেখালেও বিদ্রুপ করতে ছাড়েননি তৃণমূলের ডেরেক ওব্রায়েন। পাহাড়ের ক্ষমতা কার হাতে বন্দি হতে চলেছে তা জানতে এখনও বেশ

23d955890c659885cf1fbb13166f8bf0

২০১৯-এ পাহাড়ের জিতছে কে, দিন গুনছে দার্জিলিং

আজ বিকেল: এদিন দ্বিতীয় দফার ভোটে জেগে উঠল পাহাড়। দার্জিলিংয়ে ভূমিপুত্র অমর সিং রাইকে প্রার্থী করে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশ নিল তৃণমূল।প্রচারের সময় থেকে বার বার বাইরের বিজেপি প্রার্থীকে নিয়ে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল নেত্রী। রাজু বিস্ত জয়ের আত্মবিশ্বাস দেখালেও বিদ্রুপ করতে ছাড়েননি তৃণমূলের ডেরেক ওব্রায়েন। পাহাড়ের ক্ষমতা কার হাতে বন্দি হতে চলেছে তা জানতে এখনও বেশ খানিকটা অপেক্ষা করতে হবে। সেই অবসরে হয়ে যাক তুল্যমূল্য বিচার।দার্জিলিংয়ে পর্যটনই বাসিন্দাদের একমাত্র উপার্জনের মাধ্যম। এখানে সমতলও রয়েছে। পাহাড় এবং সমতলের সমন্বয়ে তৈরি এই লোকসভা কেন্দ্র।

বিধানসভা কেন্দ্র:‌ কালিম্পং, দার্জিলিং, কার্শিয়ং, মাটিগাড়া–নকশানবাড়ি, শিলিগুড়ি, ফাঁসিদেওয়া, চোপড়া।
দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্র প্রধান দুটি এলাকা দার্জিলিং এবং শিলিগুড়ি। শিলিগুড়িকে উত্তর–পূর্বের গেটওয়ে বলা হয়ে থাকে। সেকারণে এই জেলায় মিশ্রসংস্কৃতির মানুষের বসবাস। যার প্রভাবে দার্জিলিং জেলার রাজনৈতিক সমীকরণও একটু অন্য প্রকৃতির। বাম আমল থেকেই পাহাড়ে অসন্তোষের প্রভাব বেশি দেখা গিয়েছে। ঘিসিং থেকে বিমল গুরুং দুই নেতার দাপটে আগুন জ্বলেছে পাহাড়ে।

২০১৪ সালের লোকসভা ভোটের ফলাফল:‌
সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া(‌বিজেপি)‌—প্রাপ্ত ভোট ৪,৮৮,২৫৭
বাইচুং ভুটিয়া (‌তৃণমূল কংগ্রেস)‌—প্রাপ্ত ভোট ২,৯১, ০৮১
সমন পাঠক(‌সিপিএম)‌—প্রাপ্ত ভোট ১,৬৭,১৮৬
সঞ্জয় ঘটক—প্রাপ্ত ভোট ৯০,০৭৬

২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের প্রার্থী:‌
অমর সিং রাই —তৃণমূল কংগ্রেস
রাজু বিস্তা—বিজেপি
শঙ্কর মালাকার—কংগ্রেস
সমন পাঠক—সিপিএম

বাম কী তৃণমূল দুই শাসকের শাসনেই উত্তপ্ত থেকেছে পাহাড়। পাহাড়বাসীর মন জয় করতে বারবার সেখানে ছুটে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কড়া হাতে পাহাড়ের অশান্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছেন তিনি। এবারের লোকসভা ভোটে পাহাড় দখলে মরিয়া তৃণমূল। সেকারণেই স্থানীয় পরিচিত ব্যক্তিকেই প্রার্থী করা হয়েছে। বিজেপিও সেই পথেই হাঁটছে। তাই গতবারের জয়ী সাংসদকে আর এবার এখান থেকে টিকিট দেয়নি তারা। রাজনৈতিক তরজার মধ্যেই এদিনের নির্বাচন মিটেছে। প্রার্থীরা যাই ভাবুন না কেন পাহাড়বাসী ভাল থাকার আশায় প্রহর গুনছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *