নয়াদিল্লি: ত্রিশঙ্কু সংসদ হতে চলেছে। এটা ধরে নিয়েই বিভিন্ন ছোটবড় আঞ্চলিক দল নিজেদের সুবিধামতো অবস্থান নিয়ে এগোচ্ছে। কংগ্রেস কিংবা বিজেপি যে এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না এটা ধরেই নিয়েছে রাজনৈতিক মহল। আর তারই আভাস পাওয়া যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের প্রধানত ছোট আঞ্চলিক দলের আচরণে। এই দলগুলি বিজেপির সঙ্গে জোটে আবদ্ধ হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
তামিলনাড়ু থেকে উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেসের তুলনায় বিজেপির সঙ্গে বেশি করে ছোট ছোট আঞ্চলিক দলগুলি যুক্ত হচ্ছে। এর কারণ বিজেপি এবার সরকার গড়ার জন্য অনেক বেশি করে জোট সঙ্গী খুঁজছে। যে জোটশরিকরা আছে সেই রামবিলাস পাসোয়ান, শিবসেনা, আকালি দল মিলে যতটা আসন পাওয়া সম্ভব এবার তা সরকার গড়ার পক্ষে যথেষ্ট নয় বলেই মনে করা হচ্ছে। সেই কারণে বিজেপি একদিকে একক গরিষ্ঠতার লক্ষ্যে মরিয়া হয়ে ঝাঁপালেও পাশাপাশি জোটশরিকের সংখ্যা বৃদ্ধিও অন্যতম উদ্যোগ।
যেহেতু বড়সড় কোনও আঞ্চলিক দল এবার এখনও পর্যন্ত ভোটের আগে এনডিএতে যোগ দেয়নি। সেই কারণেই বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব চাইছে আঞ্চলিক ছোট দলকে পেতে। উত্তরপ্রদেশ ও বিহারে এবার বিজেপি আশঙ্কা করছে ২০১৪ সালের থেকে কম হবে আসনপ্রাপ্তি। কারণ উত্তরপ্রদেশের ৪৭টি আসনেই দলিত, মুসলিম, যাদব ভোটব্যাঙ্ক ৫০ শতাংশের বেশি। এবার অখিলেশ যাদব ও মায়াবতীর জোট এই ভোটব্যাঙ্কের প্রধান দাবিদার। সুতরাং ২০১৪ সালে পাওয়া ৭৩ টি আসন এবার বিজেপি পাবে না। অন্যদিকে বিহারেও একইভাবে ৩৬টি আসন এবার এনডিএ জোট নাও পেতে পারে। এই দুই রাজ্য থেকেই এনডিএ ১০৯টি আসন পেয়েছিল। সুতরাং এখান থেকে কমে আসন সংখ্যা অর্ধেক হয়ে যাওয়া অসম্ভব নয়।