আজ বিকেল: মঙ্গলবার অমিত শাহর রোড শো চলাকালীন বিদ্যাসাগর কলেজে ঈশ্বরচন্দ্রের মূর্তি ভাঙাকে কেন্দ্র করে উত্তাল কলকাতা-সহ গোটা রাজ্য। দুটি রাজনৈতিক দলের টানাপোড়েনে ইতিমধ্যেই উত্তেজিত গোটা সুশীল সমাজ। ক্ষোভে ফুটছে মেদিনীপুরের বীরসিংহ গ্রাম। কেন রাজনৈতিক সভার বাজি জিততে বিদ্যাসাগরের মূর্তিকে হাতিয়ার করা হল। বিজেপির দাবি তৃণমূলের গুন্ডারা ভেঙেছে মূর্তি, অন্যদিকে তৃণমূলের দাবি বিজেপির ছাত্র সংগঠন এবিভিপি-র ছেলেরাই এই গর্হিত অপরাধ করেছে। এদিন উত্তরপ্রদেশের জনসমাবেশ থেকে মোদির অভিযোগ, বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙেছে তৃণমূলের লোকজন। এই অভিযোগে ক্ষিপ্ত মমতার বক্তব্য, বুধবার ডায়মন্ডহারবারে সভা করতে এসে মূর্তি ভাঙা নিয়ে একটি কথাও বলেননি, আর উত্তরপ্রদেশে গিয়ে কিনা তিনি তৃণমূলের নাম দোষ দিয়ে দায় এড়াচ্ছেন। তিনি মিথ্যাচার করছেন, তাই তাঁকে ১ লক্ষ বার কান ধরে ওঠবোস করা উচিত।
এদিন সেই প্রসঙ্গে মুখ খোলে এবিভিপি। এবিভিপি দাবি করে, “কলেজ স্কোয়ারে বিদ্যাসাগরের মূর্তি ছিল। বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙা যদি উদ্দেশ্য হয়ে থাকত, তাহলে সেখানেই ভাঙাটা সহজ হত।” মূর্তি ভাঙার ঘটনার সঙ্গে কোনওভাবেই আরএসএস বা তাদের লোকজন জড়িত নয় বলে দাবি করে এবিভিপি। সাংবাদিক সম্মেলন করে এবিভিপি এদিন দাবি করে, তৃণমূলের লোকেরাই মূর্তি ভেঙেছে। তাঁদের অভিযোগ, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরাই সেদিন ভিতর থেকে মূর্তি বাইরে আনে। তারপর ভাঙে।
এই ডামাডোলের মধ্যেই বিদ্যাসাগর কলেজে ঈশ্বরচন্দ্রের মূর্তি ভাঙার ঘটনায় সিট গঠন করল লালবাজার। ডিসি নর্থের নেতৃত্বে সিট গঠন করা হয়েছে। লালবাজার সূত্রে খবর, এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত আরও ৫ জনের নাম পাওয়া গিয়েছে। দোষীদের শনাক্তকরণের কাজ চলছে।