সোমেন মিত্রর পর প্রদেশ সভাপতি কে? চর্চায় উঠছে কাদের নাম

সোমেন মিত্রর পর প্রদেশ সভাপতি কে? চর্চায় উঠছে কাদের নাম

 

কলকাতা: প্রায় ৫৫ বছরের রাজনৈতিক জীবন৷ প্রদেশ কংগ্রেসকে শক্ত হাতে ধরে রেখেছিলেন সদ্য প্রয়াত সভাপতি সোমেন মিত্র৷ নিজের দল নয় হোক কিংবা বিরোধী শিবির, বহু নেতারা এখনও  একবাক্যে স্বীকার করেন, সোমেনের হাতে শক্ত ছিল সংগঠনের রাশ৷ কিন্তু, সোমেন মৃত্যুর পর  এবার কী হবে? কংগ্রেসের মরা গাঙে বাংলায় হাল ধরবে কে? পরবর্তী প্রদেশ সভাপতি হবেন কে? শুরু হয়েছে জোর চর্চা৷

রাজনীতির মধ্য গগনে থাকাকালীন সোমেনবাবুর জনপ্রিয়তা নিয়ে শত্রু শিবিরের অনেকেও সন্দেহ প্রকাশ করেনি কখনও৷ ছয়ের দশকের মাঝামাঝি সাধারণ কর্মী হিসেবে রাজনীতির হাতেখড়ি হয়েছিল তাঁর৷ ১৯৭২ সালে প্রথম শিয়ালদহ কেন্দ্রে বিধায়ক হন তিনি৷ ১৯৭৭ সালে জনতা পার্টির প্রাথী বিনয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে হারেন৷ ১৯৮২ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত টানা বিধায়ক৷ ২০০৮ সালে মতানৈক্যের দরুণ প্রথম কংগ্রেস ছাড়েন৷ গড়ে তোলেন প্রগতিশীল ইন্দিরা কংগ্রেস৷ হয়নি সেখানে সুবিধা৷ ২০০৯ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূলে যোগ দেন৷ ডায়মন্ডহারবার কেন্দ্র থেকে সংসদ নির্বাচিত হন৷ পরে ২০১৪ সালে তৃণমূল ছেড়ে ফের কংগ্রেসে যোগ দেন৷ পরে হন প্রদেশ সভাপতি৷ সব মিলিয়ে ৩ বার৷ কিন্তু, প্রদেশ সভাপতি থাকাকালীন বহু জয়-পরাজয় হয়েছে দলে৷ তার দায়ও নিয়েছিলেন তিনি৷ কিন্তু, সোমেনবাবুর পর প্রদেশ কংগ্রেসের হাল ধরবে কে?

কংগ্রেসের কঠিন সময়ে কে হাল ধরবেন? সের দিকে তাকিয়ে কর্মী-সমর্থকদের বড় অংশ৷ দলের নেতাদের একাংশ বলছেন, অভিজ্ঞতার উপর যদি হাইকমান্ড জোর দেয় তাহলে আব্দুল মান্নান কিংবা প্রদীপ ভট্টাচার্যের নাম উঠে আসতে পারে৷ তবে দু’জনের বয়স ও শারীরিক অবস্থার ভাবাচ্ছে কর্মীদের৷ সেক্ষেত্রে অপেক্ষাকৃত কম বয়সের কাউকে দায়িত্ব দেওয়ার কথা ভাবনে পারে হাইকমান্ড৷ তাহলে মনোজ চক্রবর্তী কিংবা নেপাল মাহাত, ফিরোজা বেগমের নাম উঠে আসতে পারে৷ তবে, দলের হাল শক্ত হাতে ধরতে গেলে অনেকেই মনোজ চক্রবর্তীকে প্রথম পছন্দের তালিকায় রাখছেন৷ তবে এক নম্বর চেয়ারটিতে কে বসবেন, সে ব্যাপারে বিশেষভাবে খোঁজ নিতে আগ্রহী সিপিএম এবং বাকি বাম দলগুলি৷ কেননা, ওই চেয়ারের উপর নির্ভবর করছে তৃণমূল-বিজেপি বিরোধী জোটের বন্ধন৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *