কলকাতা: সারদাকর্তা সুদীপ্ত সেন কাশ্মীরের হোটেল থেকে উদ্ধার হওয়া সামগ্রী কোথায়? তা নিয়ে এবার তদন্তে ঝাঁপাচ্ছে সিবিআই৷ সুদীপ্তকে পালিয়ে যেতে এখানকার কারা সাহায্য করেছিলেন? তাও খোঁজ শুরু হয়েছে৷ এত রাজ্য থাকতে হঠাৎ কেন সারকাকর্তা কাশ্মীরকে আত্মগোপন করেছিলেন, তারও উত্তর পাওয়ার চেষ্টা শুরু করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা৷
যে হোটেল থেকে সুদীপ্ত সেনকে গ্রেপ্তার করা হয়, সেখান থেকে ঠিক কী কী উদ্ধার করা হয়েছিল? তাও খোঁজা হচ্ছে বলেও সিবিআই সূত্রে খবর৷ এই বিষয়ে খোঁজখবর নিতে দীর্ঘ জেরা করা হয় বিধাননগর কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত ইন্সপেক্টর দিলীপ হাজরাকে৷
সুদীপ্ত সেনের আত্মগোপন পর্বের পুরোটাই রহস্যে মোড়া! কলকাতা ছাড়ার আগে তিনি দক্ষিণ কলকাতার এক অভিজাত গেস্ট হাউসে এসেছিলেন বলে প্রাথমিক ভাবে জানতে পারেছে সিবিআই৷ সেখানে কয়েকজন রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে দেখা করেন বলেও খবর৷ তাঁদের সঙ্গে সারদাকর্তার দীর্ঘক্ষণ বৈঠক হয়৷ ওই বৈঠকে কারা ছিলেন, তাঁকে কী পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল, তা অনেকদিন আগেই সিবিআই জেনেছে৷ সেখান থেকেই তদন্তকারী সংস্থার অফিসাররা জানার চেষ্টা করছিলেন, সুদীপ্ত যে পালিয়ে যাবেন, এটা কারা কারা জানতেন? এই কাজে তাঁকে কারা কারা সাহায্য করেন? এবার সেই তথ্য সংগ্রের কাজ শুরু করেছে সিবিআই৷ সুদীপ্ত যখন পালিয়ে বেড়াচ্ছেন, এই সময় এও গুঞ্জন শুরু হয়, তিনি উত্তরের দিকে রয়েছেন৷ এর কয়েকদিনের মধ্যে সিটই তাঁকে কাশ্মীর থেকে গ্রেপ্তার করে৷ এই টিমে ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত ইন্সপেক্টর দিলীপ হাজরাও৷ তাঁক থেকেও গ্রেপ্তারি পর্ব বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে৷