রায়গঞ্জ: ফের বাংলায় দাঁড়িয়ে কর্মসংস্থান প্রসঙ্গে মমতা-মোদিকে আক্রমণ করলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী৷ বুধবার রায়গঞ্জে সভামঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেও কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন রাহুল৷ বলেন, ‘‘দিদি বলছে, কংগ্রেসের কিছুই করছে না৷ দিদি একাই মোদির বিরুদ্ধে লড়ছে৷ কিন্তু, আমি বলি, মোদিকে চৌকিদার কে বানাল৷ রাফাল দুর্নীতি কে প্রকাশ্যে আনল? আচ্ছা, বলুন তো, কংগ্রেস কি কখনও বিজেপির সঙ্গে জোট করেছিল৷ না৷ কোনও দিন করেনি৷ মমতাজি বিজেপির সঙ্গে জোট করেছিল? হ্যাঁ, করেছিল তো৷’’
এদিন চোপড়ার সভামঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সিপিএম-কংগ্রেসকে একটি ভোট দেবেন না৷ কারণ, ওদের দিয়ে কিছুই হবে না৷ বিজেপিকেও একটিও ভোট দেবেন না৷ ওরা সবাই এক৷ দিনে কংগ্রেস করে, রাতে বিজেপি৷ ফলে, দেশে পরিবর্তন চাইলে তৃণমূলকে ভোট দিন৷’’ মমতার এই মন্তব্যের পাল্টা জবাব দেন রাহুল গান্ধী৷
নয়ের দশকের শেষ লগ্নে রাজ্যে তৃণমূল ও বিজেপির সমঝোতা হয়েছিল। সেই সূত্র ধরে বাজপেয়ী মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এনডিএ-র অন্যতম শরিক হিসেবে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে অটলবিহারী বাজপেয়ীর সম্পর্ক খুবই ভাল ছিল। সেই সময় কলকাতা এসে কালীঘাটে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মায়ের পায়ে হাত দিয়ে প্রণামও করেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী।
কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে ৩২ লক্ষ কর্মসংস্থান করা হবে বলেও আশ্বাস দেন রাহুল৷ বলেন, ‘‘দেশে ২২ লক্ষ সরকারি চাকরি পড়ে রয়েছে৷ পঞ্চায়েতে ১০ লক্ষ শূন্যপদ পড়ে রয়েছে৷ আমরা ক্ষমতা এসে ৩২ লক্ষ কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করব৷’’ এদিন মোদিকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘‘মোদি বলেছিলেন, ১০ কোটি কর্মসংস্থান দেবেন৷ কিন্তু, চৌকিদার তা করতে পারেনি৷ আমি ১০ কোটির কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি দিতে পারব না৷ আমি আপনার ব্যাঙ্কে ১৫ লক্ষ টাকা দিতে পারব না৷ কারণ আমার নাম নরেন্দ্র মোদি না৷ আমি এটা বলতে পারি, ৩২ লক্ষ কর্মসংস্থান ও ৭২ লক্ষ টাকা দিতে পারব৷’’
এদিন বাংলার কর্মসংস্থানকেও হাতিয়ার করেন রাহুল৷ বলেন, ‘‘মমতাজি বলেছিলেন, কাজ দেবেন৷ বলুন তো, আপনারা কেউ কাজ পেয়েছেন? বলুন তো, আপনাদের কৃষঋণ মকুব হয়েছে? হয়নি৷ কংগ্রেস সরকার এলে ঋণ মকুব করবে৷’’