কলকাতা: ছিল নির্দেশ৷ চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছিল, আজ সকালের মধ্যে সিবিআইয়ের কলকাতার দপ্তরে হাজির হতে হবে তাঁকে৷ জেরার জন্য আঁটঘাঁট বেধে অপেক্ষায় ছিলেন সিবিআইয়ের আধিকারিকরা৷ রবিবার সন্ধ্যায়, কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের বাড়ি ও ভবানী ভবনে গিয়ে সিবিআইয়ের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, সকাল ১০টায় তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিতে৷ কিন্তু নির্দিষ্ট সময় পার হয়ে গেলেও কমপ্লেক্সে এলেন না রাজীব কুমার! তবে, এদিন সকালে রাজীব কুমার না এলেও সিজিও কমপ্লেক্সে ঢুকতে দেখা যায় দুই সিআইডি অফিসারকে৷ কিন্তু, প্রশ্ন উঠছে কোথায় আছেন রাজীব কুমার? কেন গেলেন না সিবিআইয়ের দপ্তরে?
সূত্রের খবর, সিআইডি অফিসাররা এদিন রাজীব কুমারের হয়ে সিবিআই দপ্তরে উপস্থিত হন৷ তাঁদের মাধ্যমে তিন দিন সময় চেয়েছেন রাজীব কুমার৷ কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার রাজীব কুমার তিন দিনের ছুটিতে আছেন বলে জানা গিয়েছে৷
পশ্চিমবঙ্গ ক্যাডারের ৮৯ ব্যাচের আইপিএস রাজীব কুমার৷ ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনের পরেই রাজীব কুমারকে কলকাতার পুলিশ কমিশনের পদে নিয়ে আসা হয়৷ এর আগে তিনি রাজ্য পুলিশের বিভিন্ন দায়িত্ব সামলেছেন৷ সিআইডির গুরুত্বপূর্ণ পদেও দীর্ঘদিন কাজ করেছেন৷ এবারের লোকসভা নির্বাচনে কমিশনের তরফে রাজীব কুমারকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে বদলি করা হয়৷ ভোটের নির্বাচনী বিধিনিষেধ উঠে যেতেই রাজীব কুমারকে আগের দায়িত্বে ফিরিয়ে আনার বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজ্য সরকার৷ সিআইডির দায়িত্ব ফিরে পাওয়ার পর রাজীবের একটা রক্ষাকবচ তৈরি ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে৷ পুরানো পদে ফিরলেও আজ সিআইয়ের মুখোমুখি হনেন না রাজীব৷ পর্যবেক্ষক মহলের ধারনা, রাজীবকে স্বপদে ফিরিয়ে এনে আদতে সিবিআইকে ঘিরে বার্তা রাজ্যের৷ কেননা, সিবিআইয়ের পক্ষে একজন সিআইডির শীর্ষকর্তাকে গ্রেপ্তার খুব একটা সহজ হবে না৷ যদি সিবিআই রাজীবকে গ্রেপ্তার করার পরিকল্পনাও করে থাকে, তা হলে সেই পথ মোটেই সহজ হবে না বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা৷
তবে, এই মুহূর্তে রাজীবের উপর থেকে রক্ষাকবচ তুলে নিয়েছে সুপ্রিম কোর্চ৷ নানান জটিলতায় এখনও আগাম জামিনের আর্জিও জানাতে পারেননি তিনি৷ ফলে, যে কোনও সময় সিবিআই রাজীবকে গ্রেপ্তার করতে পারলেও সেই পথেও পয়েছে বেশ কিছু প্রশানিক বাধা৷
