কলকাতা: পলাতক গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা নেতা বিমল গুরুং লোকসভা নির্বাচনের আগে সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, বিজেপি তাঁদের গোর্খাল্যান্ড পৃথক রাজ্যের চাহিদা নিয়ে ভেবে দেখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে৷ তবে তিন দশকে দার্জিলিংয়ে এই প্রথম কোনও নির্বাচনে গোর্খাল্যান্ড রাজ্যের দাবিটা ইস্যু হয়ে ওঠেনি৷ সমস্ত দলেরই ইস্যু ছিল রাজ্যের উন্নয়ন এবং গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা৷
সদ্য সমাপ্ত সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গ সহ সারা রাজ্যেই ভাল ফল করেছে বিজেপি৷ বিগত তিন নির্বাচনেই পাহাড়ের মানুষের সমর্থন নিয়ে বৈতরণী পাড় করেছে বিজেপি৷ ২০১৯-এ দার্জিলিং সহ উত্তরবঙ্গের প্রায় সমস্ত জেলায় নিজেদের দখলে রেখেছে বিজেপি৷ ২০২১ এর বিধানসভাকে সামনে রেখে যখন আটঘাট বেঁধে মাঠে নেমেছে গেরুয়া শিবির৷ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানিয়ে দিলেন, গোর্খাল্যান্ডের প্রতিশ্রুতি কখনওই দেয়নি তাঁর দল৷ শুধু তাইই নয়, অসামের মতো বাংলাতেও লাগু হবে নাগরিক পঞ্জী বা এনআরসি, জানিয়ে দিয়েছেন দিলীপ ঘোষ৷
লোকসভায় বাংলায় অভূতপূর্ব সাফল্যের পর বিজেপি রাজ্য সভাপতির এই মন্তব্যকে ভোল বদল হিসেবে দেখছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ৷ নির্বাচনী ফলাফলের পর থেকেই ২০২১ এর দিকে তাকিয়ে বাংলায় নিজেদের শক্তি বৃদ্ধিতে মরিয়া গেরুয়া শিবির৷ বিগত দেড় মাসে ঘাস ফুল ছেড়ে পদ্ম শিবিরে যোগ দেওয়া নেতাকর্মীদের সংখ্যা নেহাত কম না৷ এই পরিস্থিতিতে গোর্খাল্যান্ড নিয়ে এমন মন্তব্য করে পাহাড়ের মানুষকে কী বার্তা দিয়ে চাইছে বিজেপি?
জলপাইগুড়িতে এক কর্মী সভার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে দিলীপ ঘোষ বলেন, আমরা গোর্খা সম্প্রদায়ের উন্নয়ন চাই, ওদের দাবি দাওয়ার প্রতি সমবেদনা রয়েছে কিন্তু ওদের আলাদা রাজ্যের প্রতিশ্রুতি দিইনি৷ ঘোষের এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে গোর্খা ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্টের মুখপাত্র নীরজ শর্মা বলেছেন, দিলীপ ঘোষের রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে৷ কিন্তু আমরা আমাদের দাবিতে অনড় থাকব৷ আমরা আমাদের সমস্যার একটা স্থায়ী সমাধান চাইছি৷