আজ বিকেল: তৃণমূলের প্রচারে পয়সা দিয়েই সেলেবদের আনা হয়। বিনা পয়সায় তাঁরা আসেন না। ফিরদৌস বিতর্কে জল ঢালতে গিয়ে আগুনই জ্বালিয়ে দিলেন খ্যাতনামা আইনজীবী তথা শ্রীরামপুরের তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলাদেশের অভিনেতা ফিরদৌস ঢাকা থেকে বিজনেস ভিসায় কলকাতায় এসে পয়লা বৈশাখের দিন রায়গঞ্জের তৃণমূল প্রার্থী কানহাইয়ালাল আগরওয়ালের হয়ে প্রচার করেন তিনি।
তারপরেই বিজেপির তরফে কমিশনে অভিযোগ জমা পড়ে। নড়েচড়ে বসে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে অভিনেতার বিজনেস ভিসা ব্ল্যাক লিস্টেড করা হয়। শুরু হয়ে যায় ঢাকা দিল্লি বার্তা আদানপ্রদান বিপাকে পড়ে যান অভিনেতা ফিরদৌস। সেই আগুন এখনও ধিক ধিক জ্বলছে, তাতে জল দেওয়ার বদলে ভুল করে বারুদ সঞ্চার করলেন কল্যাণবাবু। প্রচারে বেরিয়ে ফিরদৌসকে আড়াল করতে গিয়ে তিনি বলেন, সেলেবরা তো এমনি এমনি তৃণমূলের প্রচারে আসেন না। তাঁদের রীতিমতো টাকা দিয়ে ভাড়া করা হয়। তাহলে তো বিজনেসই হল, সেই কাজে এসে কেন ফিরদৌসের বিজনেস ভিসা বাতিল হবে। এটুকু বললেই ঠিক ছিল, কিন্তু কল্যাণাবু তো আর অল্পেতে ছাড়ার বান্দা নন, তাই বললেন, টলি পাড়ার তারকারা টাকা পান বলেই তৃণমূলের প্রচারে আসেন।
কী বলতে কী বলে ফেললেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় তা এই বোটের বাজারে ভালরকম টের পাচ্ছে তৃণমূল। না চাইতেই বিজেপির হাতে অস্ত্র উঠে এসেছে। কমিশনের কাছে নালিশও ঠুকেছে তারা। রাজনৈতিকদল গুলি প্রচারে কত টাকা খরচ করছে তার হিসেব কমিশনকে দিতে হয়। কিন্তু নায়ক নায়িকারা যে মোটা অংকের টাকা নেন সেই খবর প্রকাশ্যে আসে না। এবার এদিকটি খতিয়ে দেখার জন্য কমিশনকে বিশেষ আর্জি জানিয়েছে পুলিশ। কল্যাণবাবুর বক্তব্যে অবাক তৃমমূলের অনেক নেতাই। কেউ কেউ বলেই ফেললেন, আমরা তো ভাবতাম দিদিকে ভালবেসে নায়ক নায়িকারা প্রচারে আসেন, টাকার খেলার বিষয়টি তো জানাই ছিল না। বিজেপি নেতারা কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। একজন তো বললেন, তৃণমূলের সেলিব্রিটি বেলুনে আলপিন ফুটিয়েছেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। কোথাকার জল যে কোথায় গড়াবে, তাই বা কে জানে।