মমতার মুখে ইস্তফার কথা শুনতেই যে কাণ্ড ঘটালেন নেতা-মন্ত্রীরা?

কলকাতা: হারের পর্যালোচনার বৈঠকের পর সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়তে চেয়েছিলেন বলেও দাবি করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ নিজেই জানিয়ে দিলেন, ‘‘এই অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কাজ করার ইচ্ছে নেই৷ কিন্তু, দল এটা মানতে চায়নি, তাই আমাকে কাজ চালাতে হচ্ছে৷ ছ’মাস ধরে ক্ষমতাহীন মুখ্যমন্ত্রী হয়ে ছিলাম৷ এটা মানতে পারছি না৷ মুখ্যমন্ত্রী পদে আর থাকতে চাই

মমতার মুখে ইস্তফার কথা শুনতেই যে কাণ্ড ঘটালেন নেতা-মন্ত্রীরা?

কলকাতা: হারের পর্যালোচনার বৈঠকের পর সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়তে চেয়েছিলেন বলেও দাবি করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ নিজেই জানিয়ে দিলেন, ‘‘এই অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কাজ করার ইচ্ছে নেই৷ কিন্তু, দল এটা মানতে চায়নি, তাই আমাকে কাজ চালাতে হচ্ছে৷ ছ’মাস ধরে ক্ষমতাহীন মুখ্যমন্ত্রী হয়ে ছিলাম৷ এটা মানতে পারছি না৷ মুখ্যমন্ত্রী পদে আর থাকতে চাই না৷ বৈঠকে বেলেছিলাম৷ আমি এই চেয়ার নিয়ে সন্তুষ্ট নই৷ কিন্তু, দল এটা মানতে চায়নি৷ তাই আমাকে কাজ চালাতে হচ্ছে৷ আমার কাছে চেয়ার বড় নয়৷ অপ্রিয় সত্য কথা বলতে আমি ভয় পাই না৷ যাঁরা ভোট দেয়নি, নিশ্চয়ই অপছন্দ করেন, এটা বিবেকে লেগেছে৷’’

সূত্রের খবর, বৈঠক শুরু হতেই নেত্রী বলেন, ‘‘নির্বাচন কমিশনের জন্য আমি সরকারের কাজই ছ’মাস করতে পারেননি৷ এ ভাবে কাজ করা যায় না৷ ক্ষমতাহীন মুখ্যমন্ত্রী হয়ে থাকতে চাই না৷ চেয়ার ইজ নাথিং ফর মি। আমি দলের সভাপতি হয়ে কাজ করতে চাই৷’’ মুখ্যমন্ত্রীর মুখে এহেন কথা শুনতেই পিন ড্রপ সাইলেন্স৷ ঘটনার আকস্মিকতা কাটিয়ে মুহূর্তেই না, না শব্দে তোলপাড় ফেলে দেয় বৈঠক মঞ্চ৷ মমতার মুখে এহেন কথা শুনতেই পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে সুব্রত বক্সী, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য থেকে ফিরহাদ হাকিমরা উঠে দাঁড়িয়ে না না করে ওঠেন৷ একধাপ এগিয়ে সুব্রত মুখোপাধ্যায় পিছনের সারিতে বসে থাকা চেয়ার ছেড়ে সটান মমতার সামনে চলে যান৷ হাত জোড় করে সুব্রত বাবু বলেই ফেলেন, ‘মমতা যেও না যেও না৷ এরকম সিদ্ধান্ত নিও না৷ বিজেপির পাতা ফাঁদে পা দিও না৷’ দলের নেতাদের কথা শুনে কিছুটা শান্ত হন নেত্রী৷ একটু স্বাভাবিক হয়ে ফের শুরু করেন বৈঠক৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

9 + twelve =