কলকাতা: রাজ্যের তিন কেন্দ্রের উপনির্বাচন বিজেপির জন্য ‘এসিড টেস্ট’৷ তৃণমূলের জন্য এই নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ৷ কিন্তু বিজেপির জন্য মহা গুরুত্বপূর্ণ৷ কারণ, তিনটি কেন্দ্র – করিমপুর, কালিয়াগঞ্জ এবং খড়গপুর সদর কেন্দ্রে বিজেপি সুবিধাজনক অবস্থানে৷ কালিয়াগুঞ্জ এবং খড়গপুর সদরে সুবিধাজনক অবস্থানে বিজেপি’ই৷
সেখানে তৃণমূলই বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ করছে৷ বিজেপি যদি এই দুই আসন না পায়, তবে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে আত্মবিশ্বাসে ধাক্কা খাবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা৷ করিমপুর বিধানসভা কেন্দ্রটি মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রে৷ কিন্তু, করিমপুরে বিদায়ী বিধায়ক মহুয়া মৈত্র এখন কৃষ্ণনগরের সাংসদ৷ সেই জন্যই ওই কেন্দ্রে উপনির্বাচন৷
তবে মনে রাখা প্রয়োজন, ওই কেন্দ্রে লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী আবু তাহের বিজেপি প্রার্থী হুমায়ুন কবীরের থেকে ১৪৩৪০ ভোটে এগিয়ে ছিলেন৷ কিন্তু দুটি বিষয় লক্ষ্য করার মতো – এক, বিজেপি প্রার্থী এই বিধানসভা কেন্দ্রে ৭৩১৬৩ টি ভোট পেয়েছেন৷ অন্যদিকে, নোটা-তে প্রায় ১৪ হাজার ভোট পড়েছে৷
অনেকেই বলছেন, ওই কেন্দ্রে হিন্দু প্রার্থী দিলে বিজেপি মুর্শিদাবাদ কেন্দ্র জিতে যেতে পারত৷ ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনের পর ধর্মীও মেরুকরণ অনেকেই খুঁজে পেয়েছেন৷ সেক্ষেত্রে মুর্শিদাবাদের মত সংখ্যালঘু অধ্যুষিত লোকসভা কেন্দ্রে হিন্দু প্রার্থী না পেয়ে বিজেপি-র পকেট ভোট নোটা-তে গিয়ে পড়েছে বলে মনে করেছে অনেকেই৷
খড়গপুর সদরে লড়াই রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ বনাম রাজ্যের মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর৷ এই কেন্দ্রে দিলীপ-ই বিধায়ক ছিলেন৷ একসময় কংগ্রেসের চাষ করা জমি৷ আরএসএস-যেখানে ফুল ফুটিয়েছে৷ এই কেন্দ্রে লোকসভা নির্বাচনের বিচারে বিজেপি ৪৫,১৩২ ভোটে এগিয়ে আছেন৷ তবে, বিজেপির ভিতরে দ্বন্দ্বের ফলে চিন্তা কিছুটা রয়েছে৷
কালিয়াগঞ্জ কেন্দ্রটি রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে৷ রায়গঞ্জ কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী দেবশ্রী চৌধুরী জিতে সাংসদ এবং মন্ত্রী হয়েছেন৷ কালিয়াগঞ্জে তিনি তৃণমূল প্রার্থীর থেকে ৫৬৭৬২ ভোটে এগিয়ে ছিলেন৷ সেদিক থেকে দেখতে গেলে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির এসিড টেস্ট এই তিন উপনির্বাচন৷ এই উপনির্বাচনে হার তৃণমূলকে যতটা না কষ্ট দেবে, তার থে বেশি ব্যথা দেবে বিজেপিকে৷