ভারতীর গাড়িতে পাওয়া বিপুল টাকার উৎস কী? পদক্ষেপ নির্বাচন কমিশনের

ঘাটাল: ভারতী ঘোষের গাড়ি থেকে টাকা উদ্ধারের ঘটনায় রিপোর্ট তলব করল নির্বাচন কমিশন৷ অভিযোগ, বৃহস্পতিবার মাঝরাতে পিংলায় ভারতী ঘোষের গাড়ি থামিয়ে তলাশি চালিয়ে লক্ষাধিক টাকা উদ্ধার করে পুলিশ৷ গাড়ি তল্লাশি করে পুলিশ ১ লক্ষ ১৩ হাজার টাকা সহ কিছু জিনিস আটক করে৷ ‘সিজার লিস্ট’ তৈরি করে ভারতীকে সই করে নির্দেশ দেওয়া হয়৷ ভারতী রাজি হননি৷

ভারতীর গাড়িতে পাওয়া বিপুল টাকার উৎস কী? পদক্ষেপ নির্বাচন কমিশনের

ঘাটাল: ভারতী ঘোষের গাড়ি থেকে টাকা উদ্ধারের ঘটনায় রিপোর্ট তলব করল নির্বাচন কমিশন৷ অভিযোগ,  বৃহস্পতিবার মাঝরাতে পিংলায় ভারতী ঘোষের গাড়ি থামিয়ে তলাশি চালিয়ে লক্ষাধিক টাকা উদ্ধার করে পুলিশ৷ গাড়ি তল্লাশি করে পুলিশ ১ লক্ষ ১৩ হাজার টাকা সহ কিছু জিনিস আটক করে৷ ‘সিজার লিস্ট’ তৈরি করে ভারতীকে সই করে নির্দেশ দেওয়া হয়৷ ভারতী রাজি হননি৷ এই নিয়ে টানাপড়েন চলে ভোররাত পর্যন্ত৷ শেষমেশ সই না করেই চলে এলাকা ছাড়েন ভারতী৷

তৃণমূলের অভিযোগ, পিংলা থানার মণ্ডল বার গ্রামে ভারতী ঘোষ ভোটারদের টাকা বিলি করতে গিয়েছিলেন। পুলিশ সেই টাকা উদ্ধার করে৷ ভারতী ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়৷ গ্রামেরই একটি বাড়িতে তাঁকে বসিয়ে কথা বলা হয় বলে জানা গিয়েছে৷ বিজেপি সূত্রে খবর, তৃণমূল ষড়যন্ত্র করে পুলিশকে দিয়ে এই কাজ করিয়েছে বলে অভিযোগ তোলে তারা। পাল্টা তৃণমূলের অভিযোগ, পুলিশ এখন নির্বাচন কমিশনের অধীন। এখানে তৃণমূলের কোনও হাত নেই।

ভারতীয় ঘোষের দাবি, ‘‘আমি ব্যাংক থেকে টাকা তুলেছি৷ এটা কি অপরাধ৷ আমরা চারজন ছিলাম৷ সবার কাছে ওই টাকাগুলি ছিল৷ এটা চক্রান্ত ছাড়া আর কিছুই নয়৷’’ এই নিয়ে তিনি নির্বাচন কমিশনে যাবেন বলেও জানান তিনি৷ যদিও, নির্বাচনী বিধিনিষেধ চালু হয়ে গেলে নগদ ৫০ হাজার টাকার বেশি ব্যবহার করা যায় না৷ তা না হলে উপযুক্ত প্রমাণ দেখাতে হয়৷ এক্ষেত্রে গাড়িতে কেন ১ লক্ষ ১৩ হাজার টাকা নিয়ে ঘুরছিলেন বিজেপি প্রার্থী, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন৷ যদিও ভারতীর দাবি, তাঁর গাড়ি থেকে চার জনের ছিলেন৷ সরার কাছেই ৫০ হাজার টাকার কম ছিল৷

কে এই ভারতী ঘোষ? নোটিবন্দির পর পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার থেকে তাঁকে ব্যারাকপুরে বদলি করায় ২০১৭ সালের ২৭ ডিসেম্বর চাকরিতে ইস্তফা দেন ভারতী৷ এরপর থেকেই তিনি ও তাঁর দেহরক্ষী গা ঢাকা দেন৷ একাধিকবার তাঁর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে নগদ দু’কোটি টাকা উদ্ধার হয়৷ এছাড়াও একাধিক তথ্যপ্রমাণ উদ্ধার করে সিআইডি৷

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গুডবুকে থাকা ভারতী ঘোষের উত্থান শুরু কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে৷ তার আগে বাম জমানায় তিনি ছিলেন সিআইডির সন্ত্রাসদমন শাখার অফিসার৷ পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিক পালাবদলের পর ভারতীকে ঝাড়গ্রাম পুলিশ জেলার অতিরিক্ত সুপার (সদর) পদে নিয়ে আসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ ২০১২ সালের এপ্রিলে ঝাড়গ্রামের এসপি হন তিনি৷ ২০১৩-র অগস্টে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার এসপি হন ভারতী৷ সেইসঙ্গে ঝাড়গ্রাম পুলিশ জেলার ভারপ্রাপ্ত এসপিরও দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তাঁকে৷ অতীতে অনেক মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছেন ঝাড়গ্রামের পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ৷ মমতা-বন্দনা করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে ‘জঙ্গলমহলের মা’ আখ্যাও দেন তিনি৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

sixteen + 9 =