আজ বিকেল: সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনে রীতিমতো ঠাট্টার পাত্র হয়েছেন বেশ কয়েকজন জন নেতা ও নেত্রী। এঁদের মধ্যে প্রথম সারিতেই জায়গা পেয়েছেন রাহুল গান্ধী, নরেন্দ্র মোদি এবং অবশ্যই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিদি-মোদি লড়াই তো চায়ের টেবিল থেকে টেকনোক্র্যাটের ডেস্ক সব জায়গাতেই সাড়া ফেলে দিয়েছে। সবে তো লোকসভা নির্বাচন শেষ হল ফল প্রকাশে এখনও কয়েকদিন দেরি।
এর মধ্যে কে পাবে সিংহাসন তানিয়ে শুরু হয়েছে জনমত সমীক্ষা থেকে বেটিং। বাজি জিতলে মোটা টাকা ঘরে তুলবে যেকোনও একপক্ষ। তারপরে রয়েছে একক সংখ্যা গরিষ্ঠতা না পেলে এমপি কেনার চক্কর। সেখানে তো টাকার খেলাই বড় হয়ে দেখা দেবে। যার হাতে নোটের তাড়া তার ঘরেই এমপি-দের ভিড় বাড়বে, সময়টা আসতে দিন শুধু। এবার প্রশ্ন হল যদি বিরোধী জোট এনডিএ-র থেকে বেশি ভোট পেয়ে যায় তাহলে কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন? জনমত সমীক্ষায় এই প্রশ্ন ধোপেই টিকল না, সোজা ক্যাচ কট কট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরত চলে গেল।
একদলের মতে মমতা তো প্রধানমন্ত্রীত্ব চাননি, তবে তাঁকে বিরক্ত করা কেন? আর এক দল তো সাফ জানিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী হলে দেশটা গোল্লায় যাবে। কেউ কেউ এই মতামতের মধ্যেই মোদিক ফের প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে দেখতে চেয়েছেন। অনেকের মতে তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা জেগে স্বপ্ন দেখছেন, এ সফল হওয়ার নয়। তাহলে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য তিনি যে মোটেই কাঙ্খিত জনসমর্থন বঙ্গবাসীদের তরফে পাবেন না, তা একেবারেই স্পষ্ট হয়ে গেল। একই সঙ্গে মমতাকে মুখ্যমন্ত্রী পদেও দেখতে চান না অনেকে। তবে তাঁর বদলে রাজ্যের প্রশাসনিক ক্ষমতা ভাইপো অভিষেক ভোগ করুন এটাও কাম্য নয়। এককথায় অভিযেক বন্দ্যোপাধ্যাকে মুখ্যমন্ত্রী মানতে নারাজ বাংলার মানুষ। বরং মন্দের ভাল শুভেন্দু অধিকারী। বাকিরা এই প্রসঙ্গে কোনওরকম মন্তব্য করতে রাজিই হননি।
গোটা সমীক্ষাটি পাঠকের মতামতের ভিত্তিতে তুলে ধরা হয়েছে৷ ধন্যবাদ পাঠক, গুরুত্বপূর্ণ মতামত দেওয়ার জন্য৷