কলকাতা: দাসপুরের সেই সোনা পাচারের মামলায় ঘাটাল কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী ভারতী ঘোষকে আট ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করল সিআইডি। শুক্রবার দু’দফায় তাঁর জেরাপর্ব চলে। তবে তদন্তকারী অফিসারদের দাবি, বেশিরভাগ প্রশ্নেরই উত্তর এড়ানোর চেষ্টা করেছেন ভারতীদেবী। তদন্তকারী অফিসারদের সঙ্গে সহযোগিতা তো দূর, উল্টে বলার চেষ্টা করেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। তাঁর জবাবে সন্তুষ্ট নন তদন্তকারী আধিকারিকরা। সেই কারণে তাঁকে ফের ডাকা হবে বলে সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে। রাত পর্যন্ত এ ব্যাপারে ভারতীদেবীর প্রতিক্রিয়া মেলেনি। ফোন করা হলেও তা বেজে গিয়েছে।
২০১৮ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে দাসপুরের স্বর্ণ ব্যবসায়ী চন্দন মাঝি ঘাটাল আদালতে একটি মামলা করেন। লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, দাসপুর থানার হরেকৃষ্ণপুরের বিমল ঘোড়ই জানান, তাঁরা একটি আর্থিক স্কিম চালু করেছেন। তাতে রয়েছেন কয়েকজন পুলিস আধিকারিকও। তিনি এই স্কিমে রাজি হননি। এরপর তাঁর কাছ থেকে জোর করে সোনা নিয়ে যায় অভিযুক্ত।
এর ভিত্তিতে একটি মামলা রুজু হয়। আদালতের নির্দেশে তদন্ত শুরু করে সিআইডি। এই ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয় আটজনকে। যার মধ্যে ছিলেন একাধিক পুলিস অফিসার। গ্রেপ্তার হন ভারতী ঘোষের স্বামী এম এ ভি রাজু। প্রাক্তন পুলিস কর্তার মাদুরদহের একটি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণ টাকা। পরে এই মামলায় ভারতীদেবী সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। দেশের শীর্ষ আদালত তাঁকে তদন্তে সহযোগিতা করতে বলে। তিনি কোথায় রয়েছেন, সেই ঠিকানা সিআইডিকে জানাতে বলা হয়।