নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ২০১৯ সালে ২১ শে জুলাই তৃণমূলের অন্যতম প্রধান ইস্যু ছিল ইভিএম নয়, ব্যালট চাই। প্রেক্ষাপট, তার কিছু মাস আগেই হয়ে গিয়েছে লোকসভা নির্বাচন। রাজ্যে প্রথমবার ১৮টি আসন জয় করেছে বিজেপি। ৪০ শতাংশ ভোট পেয়েছে পদ্ম শিবির। বিপর্যস্ত তৃণমূল ইভিএমেই ষড়যন্ত্র দেখেছে। তবে তৃণমূলের ওই প্রচার দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। তারপরই খড়গপুর সদর, কালিয়াগঞ্জ এবং করিমপুরে উপনির্বাচন ইভিএম-এ যেতেন মমতা। আপাতত,বই দাবী আর শোনা যায়না। কিন্তু, শুক্রবার কলকাতার জনসভায় 'ইভিএম নয়, ব্যালট চাই' ইস্যুটিকে আবার উত্থাপন করেছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। রাজ্যে গণতন্ত্রের দাবিতে আন্দোলোন করছে বিজেপি। দিলীপের বক্তব্য, ‘‘ইভিএম-এও জিতেছি। ব্যালটেও জিতবো।’’
দিলীপ বলেছেন, তৃণমূল কংগ্রেস দুটি বিধানসভা নির্বাচন ইভিএম-এ জিতেছে। তখন ইভিএম ছিল ভাল। লোকসভায় হেরে দিয়ে ইভিএম খারাপ হয়ে গিয়েছে। লোকসভা নির্বাচনের পর কলকাতা হাইকোর্টে বার কাউন্সিলের নির্বাচনে ব্যালটে জিতে যায় বিজেপি। সেই কথা স্মরণ করিয়ে দিলীপ বলেছেন, “ইভিএম-এও জিতেছি। ব্যালটেও জিতবো।” তবে পুলিশি অত্যাচার এবং তৃণমূলের সন্ত্রাসের অভিযোগই দিলীপের বক্তব্য জুড়ে ছিল।
দিলীপ বলেছেন, সিপিএমের আমলে খুন করে মাটিতে পুঁতে দেওয়া হত। হাড়গোর পাওয়া গিয়েছে। তৃণমূল খুন করে ঝুলিয়ে দিচ্ছে। পুরুলিয়ার ত্রিলোচন মহাত, দুলাল কুমারের মৃত্যুর প্রসঙ্গ তুলে আনেন তিনি। হেমতাবাদের বিধায়কের অস্বভাবিক মৃত্যুও প্রসঙ্গ তুলে আনেন দিলীপ। দিলীপ বলেছেন, সব যেন আগে থেকে ঠিক করা। ময়নাতদন্তের আগেই এসপি বলছেন এত আত্মহত্যা। হাইটেনসন তার কে ঝুলে আত্মহত্যা করে। মনে রাখা প্রয়োজন, ৮-৯ মাস বাদেই ২১-এর নির্বাচন। চুরি, দুর্নীতি থেকে প্রশাসনিক গাফিলতি – তাঁর সরকার এবং পার্টি – বেশ কিছু কঠিন প্রশ্নের মুখোমুখি।