জল চাই, গাড়ি থামিয়ে সুব্রতকে ঘিরে জনতার বিক্ষোভ

বাঁকুড়া: শতাব্দী রায়ের পর এবার সুব্রত মুখোপাধ্যায়৷ প্রচারে গিয়ে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন রাজ্যের প্রাক্তন পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়৷ জলের দাবিতে এদিন সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের প্রচারের গাড়ি থামিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হয়৷ জলের দাবিতে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা৷ জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বাঁকুড়ায় প্রচারে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। শালতোড়ার কাছে জলের দাবিতে বাঁকুড়ার তৃণমূল প্রার্থীকে গ্রামবাসীরা বিক্ষোভ দেখান৷ তৃণমূল প্রার্থীর

জল চাই, গাড়ি থামিয়ে সুব্রতকে ঘিরে জনতার বিক্ষোভ

বাঁকুড়া: শতাব্দী রায়ের পর এবার সুব্রত মুখোপাধ্যায়৷ প্রচারে গিয়ে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন রাজ্যের প্রাক্তন পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়৷ জলের দাবিতে এদিন সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের প্রচারের গাড়ি থামিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হয়৷ জলের দাবিতে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা৷

জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বাঁকুড়ায় প্রচারে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। শালতোড়ার কাছে জলের দাবিতে বাঁকুড়ার তৃণমূল প্রার্থীকে গ্রামবাসীরা বিক্ষোভ দেখান৷ তৃণমূল প্রার্থীর পথ আটকে চলে বিক্ষোভ৷ পরে সুব্রতর আশ্বাসে কিছুক্ষণ পরে বিক্ষোভ প্রত্যাহার করেন স্থানীয়রা৷ স্থানীয়দের অভিযোগ, এলাকায় তীব্র জলের সমস্যা রয়েছে৷ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিকে জানিয়েও কাজ হয়নি৷ তাই তাঁরা বাধ্য হয়েই প্রাক্তন পঞ্চায়েত মন্ত্রীর গাড়ির থামিয়ে বিক্ষোভ দেখান৷

অন্যদিকে, ৯ এপ্রিল বীরভূমে প্রচারে বেরিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায়। ভোটের সময়ই দেখা মেলে সাংসদের। কিন্তু ৫টি বছর কিভাবে কাটে তার কেন্দ্রের মানুষের জীবনটা তা দেখতে একবারও আসেন না সাংসদ। এই ক্ষোভে আছড়ে পড়ে জনরোষ।

ওই দিন সকালে প্রচারে সিউড়ি পৌরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে পৌঁছালে শতাব্দী রায়কে ঘিরে ধরে এলাকার বাসিন্দারা। তাঁরা তাঁকে প্রশ্ন করেন যে এলাকার সার্বিক পরিস্থিতির বিষয়ে তিনি কিছু যানেন কি না। তার উত্তরে শতাব্দী জবাব দিতে তো পারলেনই না উপরন্তু তাঁর দলের কর্মীদের বললেন তাঁকে অন্য রাস্তা থেকে নিয়ে যেতে। তখন এলাকাবাসীরা তাঁর পথ আটকে ধরেন ও তার সামনেই ক্ষোভ উগরে দেন।

এলাকায় দীর্ঘ দিন ধরে জল কষ্টে ভুগছে সাধারণ মানুষ। গরম পড়লে আরো বাড়ে জলের সঙ্কট। পৌর প্রতিনিধিকে বলে কোনও সুরাহা হয়না। তাঁরা অভিযোগ করেন ভোটের আগে দেখানোর জন্য ফেলা হয়েছে জলের পাইপ। ভোট চলে গেলেই গত বারের মতো উধাও হয়ে যাবে সেই পাইপও। সরকারি কোনও প্রকল্প পেতে গেলেও তৃণমূল কর্মীদের দিতে হয় মোটা অঙ্কের ঘুষ। শুধু নির্বাচনের আগেই ভোট চাইতে আসেন শতাব্দী তিনি কি জানেন তাঁর এলাকার মানুষের দুর্দশার কথা। এর উত্তরে স্বভাবিক ভাবেই কিছুই বলতে পারেননি তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

17 − one =