নয়াদিল্লি: লোকসভা ভোটের ফলাফল প্রকাশ হবে এবং তারপর নতুন সরকার গঠিত হবে। কিন্তু নতুন সরকার কোন দল অথবা কোন জোটের হবে? এই অনিশ্চয়তার কারণে সচরাচর কেন্দ্রীয় সরকারের রুটিন কর্মসূচি ছাড়া অন্য কোনও ভবিষ্যৎ প্রকল্প রূপায়ণের কাজ সেভাবে করা হয় না। কারণটা খুব স্বাভাবিক। পরবর্তী সরকার যদি বিরোধীপক্ষ গঠন করে, তাহলে সেই নতুন সরকার নিজেদের নীতি ও ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ীই কাজ করতে উদ্যোগী হয়।
পূর্বতন সরকারের সব নীতি ও প্রকল্প অটুট রেখে সম্পূর্ণ ভিন্ন মতাদর্শাবলম্বী নয়া সরকার সেসব প্রকল্প গ্রহণ করে এগিয়ে চলবে, এই নিশ্চয়তা থাকে না। তাই কেন্দ্রীয় আধিকারিকরাও সতর্ক হয়েই ভোটপর্বে কাজ করেন। এবং অত্যন্ত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ ছাড়া রুটিন কর্মসূচির বাইরে সেরকম কোনও নতুন পরিকল্পনা নেওয়া হয় না। কিন্তু নরেন্দ্র মোদি চান না যে ভোটের কারণে কেন্দ্রীয় সরকারের কাজকর্ম স্তব্ধ হয়ে যাক।
এবং বাজেটে যেসব ঘোষণা করা হয়েছে সেগুলির বাস্তবায়নের সূত্রপাত আটকে থাকুক ভোটের ফলপ্রকাশ পর্যন্ত। বরং প্রধানমন্ত্রী চাইছেন যেমনভাবে সাধারণ সময়ে সরকারের কাজকর্ম চলে এবং বাজেট ঘোষণার পর নতুন আর্থিক বছরে সেই ঘোষণাগুলি সম্পর্কে প্ল্যান, সমীক্ষা নিয়ে আলোচনা ও ফালি তৈরি চলতে থাকে, তেমনই চলুক।