জাগো বাংলায় সারদার বিজ্ঞাপন? সিবিআইকে বার্তা মমতার!

কলকাতা: নাম না করে এবার জাগো বাংলায় সারদার বিজ্ঞাপন বিতর্কে মুখ খুললেন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের মুখপাত্র জাগো বাংলায় সারদার বিজ্ঞাপন নেয়া হয়েছে বলে আগেই অভিযোগ তুলেছিল সিবিআই। এই ইস্যুতে একাধিকবার নোটিশও পাঠিয়েছে সিবিআই। জাগো বাংলার একাউন্টে সারদার তরফে কোনও টাকা পাঠানো হয়েছে কিলো হয়েছিল কিনা তা জানতে ইতিমধ্যেই মাঠে নেমেছে সিবিআই। এবার

জাগো বাংলায় সারদার বিজ্ঞাপন? সিবিআইকে বার্তা মমতার!

কলকাতা: নাম না করে এবার জাগো বাংলায় সারদার বিজ্ঞাপন বিতর্কে মুখ খুললেন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের মুখপাত্র জাগো বাংলায় সারদার বিজ্ঞাপন নেয়া হয়েছে বলে আগেই অভিযোগ তুলেছিল সিবিআই। এই ইস্যুতে একাধিকবার নোটিশও পাঠিয়েছে সিবিআই। জাগো বাংলার একাউন্টে সারদার তরফে কোনও টাকা পাঠানো হয়েছে কিলো হয়েছিল কিনা তা জানতে ইতিমধ্যেই মাঠে নেমেছে সিবিআই। এবার এই পরিপ্রেক্ষিতেই সিবিআইকে কার্যত নিশানা করলেন মমতা।

আজ শনিবার যাব বাংলার সংখ্যা প্রকাশের অনুষ্ঠান মঞ্চে থেকে তৃণমূল সুপ্রিমো জানান, “আমি জানতাম সিপিএমের কাগজ গণশক্তি। সরকারি টাকায় চলত। কিন্তু আমি আজও গর্ব করে বলতে পারি, আমাদের সরকার 8 বছর হয়ে গেল, আমি কিন্তু সরকারি একটাও বিজ্ঞাপন জাগো বাংলায় নিতে দিইনি। কারণ একটা আইডিওলজি মেইনটেইন করি। কোথায় একদিন না দু’দিন কোন সাংবাদিক একটা বিজ্ঞাপন নিয়েছে, তাঁকে বিব্রত করা হয়। কিন্তু একবার ভেবে দেখেছেন, একমাত্র কাগজ জাগো বাংলা সরকারের থেকে এক পয়সা বিজ্ঞাপন না নিয়ে এই কাজটা করে।”

আগামী দিনে জাগো বাংলাকে দৈনিক কাগজ হিসাবে বাজারে আনার পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানান, জাগো বাংলার পাঠক সংখ্যা অনেক বেড়েছে। আস্তে আস্তে নিশ্চয়ই আমাদের পরিকল্পনা আছে হয়তো ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে কোনদিন আমরা জাগো বাংলাকে দৈনিক কাগজ করে তুলব। তাহলে মোটামুটি একটা পার্টির একটা কাগজে হয়ে যাবে। এক্ষুনি হয়তো হবে না। এর জন্য দু’বছর টাইম লাগবে। এখন আমাদের হাতে টাইমটা নেই। এখন অন্য কাজে ব্যস্ত আছি। সুতরাং সবকিছুই আস্তে আস্তে হবে।

এদিন তৃণমূল নেত্রী দাবি করেন জাগো বাংলা অন্যান্য কাগজের মত কুৎসা অপপ্রচার করে না। তথ্যের ভিত্তিতে খবর প্রকাশ করে জাগো বাংলা।কাগজটি দেখলে ভক্তি-শ্রদ্ধা হয় বলেও দাবি করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।এই কাগজে যারা লেখালেখি করেন তারা প্রত্যেকেই বিনা পারিশ্রমিকে কাজ করেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। যারা লিখেন তারা অন্তর দিয়ে লেখা দেন বলেও দাবি মমতার। বলেন, “জাগো বাংলা, বাংলা নামের সাথে সম্পর্কিত। এটা বেঁচে থাকবে ঐতিহ্যের সাথে। যে যতই চেষ্টা করুন না কেন।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *