দেবময় ঘোষ: আজ শুরু বিহারের নির্বাচন। তিন দফার নির্বাচনের প্রথম দফা। কিন্তু, তার আগে খবর ছড়িয়েছে, বিজেপি-নীতীশ কুমারের দূরত্ব বাড়ছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিহার জনতার উদ্দেশ্যে ভাষণ দিলেন। এন ডি এ -কে ভোট দেওয়ার আর্জি জানালেন। নীতিশ নামের উল্লেখ করলেন শেষে – নিয়মমাফিক। কিন্তু, সেই উষ্ণতা কই? জনতা খুঁজে পেলেন না।
উপ-মুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদী এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদকে বাদ দিয়ে কোনও বিজেপি নেতা নীতীশ কুমার বা তাঁর জনতা দল ইউনাইটেডের সমাবেশে উপস্থিত হননি। দুই দল সমান্তরাল ভাবে প্রচার চালিয়ে এসেছে। উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল কুমার মোদি করোনা আক্রান্ত। তিনি গৃহবন্দি। নীতীশকেই প্রচার করতে হচ্ছে। এমনকি বিজেপির ভিডিও প্রচারে নীতীশ কুমারের কোনও উল্লেখ নেই। রাজ্য জুড়ে বিজেপি হোর্ডিংস প্রধানমন্ত্রী মোদীর চিত্র তুলে ধরে। একইভাবে, জনতা দল ইউনাইটেডের প্রচারে কেবল নীতীশ কুমারকে নিয়ে আলোচনা হয়। সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কোনও উল্লেখ নেই।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পোস্টার এবং কাট-আউট কেন তাদের সমাবেশগুলিতে অত্যন্ত বেশি দৃশ্যমান তা বিজেপির নেতাদের কোনও ব্যাখ্যা নেই, যদিও প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং অমিত শাহ উভয়ই তাদেরকে এনডিএ প্রচারের মুখ হিসাবে ঘোষণা করেছিলেন কিন্তু নীতীশ কুমারের কত আউট কম দেখা গিয়েছে। বিজেপি-নীতীশ দূরত্বের কারণ কী? নীতীশ কুমারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ সমস্ত বিভাগে বাড়ছে। সূত্রের খবর, বিহারে বিজেপির অভ্যন্তরীণ সমীক্ষায় সেই সত্যি উদ্ঘাটিত হয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব নীতীশের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখছে।
অভিযোগ, লকডাউনের সময় অন্য রাজ্যে আটকে থাকা পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্দশার প্রতি উদাসীন ছিলেন নীতীশ। বিরোধী, আর জে ডি – এর তেজস্বী যাদব সাধারণ মানুষের দুর্দশার কথা তুলে ধরেছেন। বিজেপি স্পষ্ট জানে, যে প্রধানমন্ত্রী মোদীর নামে ভোট না চাওয়া হলে এনডিএর কোনও সুযোগ নেই। এখনও অবধি এল জে পি প্রকাশ্যে ঘোষণা করেছে যে ১৩৫ টি আসনে লড়ছেন চিরাগ পাসওয়ান। কিন্তুএই নির্বাচনে এনডিএর অংশ তিনি নন। যদিও পাসওয়ান জুনিয়র বিজেপির প্রতি তাঁর আনুগত্য ঘোষণা করেছেন।