ঘাটাল: ভোটদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগে ফের রণক্ষেত্র কেশপুর৷ তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোটদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ৷ গ্রামবাসীদের আটকে রাখার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে৷ পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন স্থানীয়রা৷ উভয় পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় গুরুতর জখম হন চার বাসিন্দা৷ আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যেতেও বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে৷ পরে, স্থানীয়রা একত্রিত হয়ে বাঁশ-লাঠি হাতে আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷
বিজেপির অভিযোগ, এদিন সরকালে কেশপুরের গোটগেড়িয়ার বাসিন্দাদের গ্রামে বন্দি করে রাখে তৃণমূল৷ ভোট কেন্দ্রে যেতে তাঁদের বাধা দেওয়া হয়৷ প্রতিরোধ গড়ে তুলতেই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা৷ অভিযোগ, গোটগেড়িয়া হাইস্কুলের ২০৬ এবং ২০৭ নম্বর বুথে ভোট দিতে যাচ্ছিলেন তাঁরা। কিন্তু বুথের বেশ কিছুটা আগে তৃণমূলের শ’দেড়েক দুষ্কৃতী অস্ত্র, বাঁশ, লাঠি নিয়ে পথ আটকে রাখে। গ্রামবাসীরা পুলিশে খবর দেন। পুলিশের একটি ছোট দল এলে তাদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। নিরাপত্তা দিয়ে বুথে পৌঁছে দেওয়ার দাবি জানান গ্রামবাসীরা। পুলিশ যখন প্রায় গ্রামবাসীদের নিয়ে বুথের দিকে এগোতে চেষ্টা করলেই তাঁদের সঙ্গে তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এই ঘটনায় বেশ কয়েক জন গ্রামবাসী আহত হয়েছেন।
অন্যদিকে, তমলুকের ময়নায় ১৪১ নম্বর বুথে বিজেপি সমর্থকদের ভোটদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে৷ বাঁশ-লাঠি হাতে বিজেপি সমর্থকদের তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ৷ হলদিয়া সুতাহাটা গোপালপুর বিদ্যালয় তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ। পুলিসকে লক্ষ্য করেও ইটবৃষ্টি। গোপালপুরে সকাল থেকে উত্তেজনা। অভিযোগ পাল্টা অভিযোগে সরগরম এলাকা। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন।