‘ভোটগুরু’র নয়া নির্দেশ, অস্বস্তি বাড়ছে তৃণমূল বিধায়কদের!

কলকাতা: নজরে বিধানসভা নির্বাচন৷ তার আগে হয়েছে সেমিফাইনাল, পুরসভা ভোট৷ বাংলা দখলের লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই কোমর বেঁধে মাঠে নামার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল৷ সৌজন্যে ‘ভোটগুরু’ প্রশান্ত কিশোরের ‘আইপ্যাক’ সংস্থা৷ আর সেই কৌশলের প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে বিধায়কদের টার্গেট করে করা হচ্ছে৷ ফোনে পাঠানো হচ্ছে বার্তা! ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির পর ‘ভোটগুরু’র নয়া নির্দেশে অস্বস্তিতে তৃণমূল বিধায়কদের একাংশ৷

3f1ca03bc2114dce69fef5054c2178e8

‘ভোটগুরু’র নয়া নির্দেশ, অস্বস্তি বাড়ছে তৃণমূল বিধায়কদের!

কলকাতা: নজরে বিধানসভা নির্বাচন৷ তার আগে হয়েছে সেমিফাইনাল, পুরসভা ভোট৷ বাংলা দখলের লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই কোমর বেঁধে মাঠে নামার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল৷ সৌজন্যে ‘ভোটগুরু’ প্রশান্ত কিশোরের ‘আইপ্যাক’ সংস্থা৷ আর সেই কৌশলের প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে বিধায়কদের টার্গেট করে করা হচ্ছে৷ ফোনে পাঠানো হচ্ছে বার্তা! ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির পর ‘ভোটগুরু’র নয়া নির্দেশে অস্বস্তিতে তৃণমূল বিধায়কদের একাংশ৷

সূত্রের খবর, বাংলা ভোটের লক্ষ্যে ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি শেষ করার পর এবার নয়া কৌশলে বিধায়কদের মাঠে নামাতে চলেছেন ‘ভোটগুরু’ প্রশান্ত কিশোর৷ বিধায়কদের নির্বাচনী এলাকায় কোনও আকর্ষণীয় কিছু থাকলে তা ভিডিও করে বিধায়কদের পাঠাতে বার্তা দেওয়া হচ্ছে প্রশান্ত কিশোর সংস্থা আইপ্যাকের তরফে৷ বিধায়কের নির্বাচনী এলাকায় কোথায় কেমন, কী উন্নয়ন করা হয়েছে, তার বিস্তারিত বিবরণ জানিয়ে করতে বলা হয়েছে এক মিনিটের ভিডিও৷ এই মর্মে বিধায়কদের ভিডিও চেয়ে পাঠানো হচ্ছে আই প্যাকের তরফে৷ ফোন, এসএমএস করে চাওয়া হচ্ছে ভিডিও৷ সেই ভিডিও একত্রিত করে সোশ্যাল মিডিয়ায় উন্নয়ন প্রচার করার কৌশল রয়েছে ভোট গুরুর৷

বাংলার বিভিন্ন বিধানসভায় বিভিন্ন রকমের চরিত্র রয়েছে৷ মূলত সেগুলি খতিয়ে দেখে পিকের দল তা বিশ্লেষণ করে একটি প্যাকেজ তৈরি করতে চলেছে৷ এমনিতেই ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচিকে মাথায় রেখে ব্লক স্তরের নেতৃত্ব থেকে কর্মসূচির ছবি-ভিডিও রিপোর্ট নিয়মিত পাঠাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল৷ ব্লক পিছু তিনজন নেতৃত্বস্থানীয় কর্মীরা সেই কাজ দেখভাল করতেন বলে খবর৷ এবার ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি সফলভাবে মেটার পর এলাকার ভিডিও তুলে ‘পিকে’র সংস্থায় পাঠাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিধায়কদের৷

কিন্তু, ‘পিকে’র সংস্থার ফোন পেয়ে মাথায় হাত বিধায়কদের একাংশের৷ অনেকেই বলছেন, গোটা বিধানসভা এলাকার উন্নয়নের ছবি কী করে এক মিনিটের ভিডিও’র মধ্যে তুলে তা কীভাবে পাঠানো যাবে, তা তাঁরা বুঝতে পারছেন না৷ কেননা বিধানসভা এলাকায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে তো কম উন্নয়ন হয়নি৷ আর সেই উন্নয়ন দেখাতে এক মিনিটের সময়সীমার মধ্যে পুরো ঘটনাটি তুলে ধরা কষ্টসাধ্য৷ এই বিষয়ে বিধায়কদের একাংশ পেশাদার ভিডিও গ্রাহকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেও সমস্যা সমাধান করতে উঠতে পারেননি৷ ফলে এক মিনিটের মধ্যে ভিডিও তুলে কীভাবে পাঠানো যাবে তা নিয়ে চুল ছিঁড়তে শুরু করেছেন বিধায়কদের একাংশ৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *