বাহিনী না পেলে বুথে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার হুঁশিয়া ভোটকর্মীদের

কৃষ্ণনগর: রাত পোহালেই নির্বাচন কিন্তু কৃষ্ণনগরের চাপড়ায় কেন্দ্রীয় বাহিনী না থাকায় ভোট করাতে নারাজ ভোটকর্মীরা। সোমবার চতুর্থ দফা নির্বাচনে রাজ্যের ৫ জেলার ৮ টি কেন্দ্রে হবে নির্বাচন। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল চতুর্থ দফা নির্বাচনে ১০০% বুথে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। কিন্তু কৃষ্ণনগরের চাপড়ায় এসে ভোট কর্মীরা দেখেন সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী দেয়নি কমিশন। তারপরই

বাহিনী না পেলে বুথে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার হুঁশিয়া ভোটকর্মীদের

কৃষ্ণনগর: রাত পোহালেই নির্বাচন কিন্তু কৃষ্ণনগরের চাপড়ায় কেন্দ্রীয় বাহিনী না থাকায় ভোট করাতে নারাজ ভোটকর্মীরা। সোমবার চতুর্থ দফা নির্বাচনে রাজ্যের ৫ জেলার ৮ টি কেন্দ্রে হবে নির্বাচন। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল চতুর্থ দফা নির্বাচনে ১০০% বুথে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। কিন্তু কৃষ্ণনগরের চাপড়ায় এসে ভোট কর্মীরা দেখেন সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী দেয়নি কমিশন। তারপরই তাঁদের অসন্তোষ প্রকাশ করে কমিশনকে ই-মেল করেন ভোট কর্মীরা।

ইমেলে দাবি করেন, রাজ্য পুলিশের ওপর কোনও আস্থা নেই তাঁদের। ভোট করাতে নিরাপদ মনে করছেন না তাঁরা। ভোটকে কেন্দ্র করে প্রথম,দ্বিতীয়, তৃতীয় দফা নির্বাচনে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় অশান্তির কথা শুনে যথেষ্ট ভীত ও শঙ্কিত তাঁরা। কেন্দ্রীয় বাহিনী না দিলে ভোট করাবেন না বরং ভোট বয়কটেরও দাবি তোলেন তাঁরা। অপর দিকে কেন তাঁদের বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী নেই সে কথা জানতে জেলা শাসকের কাছে গেলে তিনি জানান বুথে নয় এলাকায় টহলে থাকবে বাহিনী। কিন্তু কোনও ভাবেই কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া নির্বাচন নয় সাফ জানিয়ে দিলেন ভোট কর্মীরা।

অন্যদিকে, লোকসভা ভোটের আগের দিন বীরভূমে কেন্দ্রীয় পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে। আজ সকালে সিউড়ি সার্কিট হাউসে প্রথম দফায় তিনি পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করেন। এরপর রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় পুলিশ পর্যবেক্ষক।

আগামীকাল বীরভূম ও বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ। মোতায়েন করা হয়েছে ১২৮ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। দুটি কেন্দ্রেই চতুর্মুখী লড়াই হচ্ছে। প্রতিটি থানায় থাকছে একটি ক্যুইক রেসপন্স টিম। মোট ৪২টি জায়গায় থাকছে নাকা চেকিং। এর মধ্যে ২৬টি জেলা সীমানা ও ১৬টি রাজ্য সীমানা। ঝাড়খণ্ড সীমানা সিল করে দেওয়া হয়েছে আজ থেকেই। বীরভূমে মোট বুথের সংখ্যা ১৯০৮। এর মধ্যে স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা ৪৫৮। বোলপুর লোকসভায় মোট বুথ ১১১৩। এর মধ্যে স্পর্শকাতর বুথ রয়েছে ২৫১টি। জেলার ৯৯ শতাংশ বুথেই থাকছে কেন্দ্রীয় বাহিনী।

রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তর সূত্রের খবর, মোট ৮৮টি এমন কুইক রেসপন্স টিম থাকছে আটটি লোকসভা কেন্দ্রের জন্য। তবে শেষ পর্যন্ত আটটি লোকসভা কেন্দ্রের সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা যাচ্ছে না। আসানসোল ও বীরভূম জেলার দুটি লোকসভা কেন্দ্রের সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। বাকি পাঁচটি বিধানসভার অল্প কিছু বুথে রাজ্য পুলিশের তত্ত্বাবধানে ভোট হবে। কমিশন সূত্রে খবর, আটটি লোকসভা কেন্দ্রে সার্বিকভাবে ৯৮.৮ শতাংশ বুথে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী৷

জানা গিয়েছে, চতুর্থ দফার জন্য ৫৮০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চাওয়া হলেও তা সবটা পাওয়া যায়নি। এই কারণে একশো শতাংশ বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা যাচ্ছে না। এই দফায় মোট ভোটগ্রহণ কেন্দ্র রয়েছে ৯,৮০৪টি। তার মধ্যে ৯,৬৮৫টি কেন্দ্রেই থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী৷ পর্যবেক্ষক মহলের আশঙ্কা, বহরমপুর, কৃষ্ণনগর, রানাঘাট, বর্ধমান পূর্ব, বর্ধমান-দুর্গাপুর, আসানসোল, বোলপুর ও বীরভূমের মতো গুরুত্বপূর্ণ লোকসভা আসনে সব বুথে বাহিনী না থাকলে প্রথম তিন দফার আশান্তি চতুর্থ দফাতেও দেখা যেতে পারে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *