কলকাতা: বাংলায় এনআরসি চালুর দাবিতে এবার পুজোর আগেই মাঠে নামতে চলেছে বিশ্বহিন্দু পরিষদ৷ সাংবাদিক বৈঠক করে বিশ্বহিন্দু পরিষদের নেতা শচীন্দ্রনাথ সিং জানিয়েছেন, সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত রাজ্যজুড়ে এনআরসির লাগাতার আন্দোলন চলবে৷ শুরু হবে সদস্য সংগ্রহ অভিযান৷
সংগঠনের তবে তরফে দাবি করা হয়েছে, বাংলায় কেন এনআরসি প্রয়োজন তা সাধারণ মানুষকে বোঝানোর জন্য বেশকিছু জনসংযোগ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে৷ এনআরসির দাবিতে পথে নামার পাশাপাশি বিশ্বহিন্দু পরিষদের সদস্য সংখ্যা অভিযান চালানো হবে বলেও সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে৷ বাংলাজুড়ে ২ লক্ষ নতুন সদস্যপদ তৈরির অভিযানে নামার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে বিশ্বহিন্দু পরিষদ৷
সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, অসমের মতো এ রাজ্যে এনআরসি চালু করা হোক৷ এই রাজ্যে বেআইনিভাবে যাঁরা বসবাস করছে, তাঁদের অবিলম্বে দেশ থেকে বের করে দেওয়াও দাবি তুলেছেন তাঁরা৷ একইসঙ্গে সংগঠনের তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, এনআরসি চালু হলে হিন্দুদের ক্ষেত্রে কোন সমস্যা হবে না৷ কারণ তাঁদের মূল লক্ষ্য বাংলাদেশ থেকে যেসমস্ত অ-হিন্দু শরণার্থীরা ভারতে এসে বসবাস করছেন, তাঁদের আগে বিতাড়িত করতে হবে৷ সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশ থেকে আগত হিন্দু শরণার্থীদের স্বাগত জানানো হবে বলেও জানিয়েছেন বিশ্বহিন্দু পরিষদের নেতা শচীন্দ্রনাথ সিং৷ এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কেন্দ্র সরকার হিন্দুদের কথা অবশ্যই ভাবে দেখবে৷ ফলে এনআরসি হলে হিন্দুদের কোন চিন্তা করার কারণ নেই৷
বাংলায় এনআরসি হবেই৷ লোকসভা ভোটের নির্বাচনী প্রচারে এমনই দাবি তুলে প্রচারে ঝড় তুলেছিল বঙ্গ বিজেপি৷ প্রকাশ্যেই জানানো হয়েছিল, বিজেপি ক্ষমতায় আসলে বাংলা এনআরসি চালু হবে৷ কিন্তু বিজেপির সেই স্বপ্নে কার্যত জল ঢালতে ইতিমধ্যেই রাজ্য বিধানসভায় নয়া ব্যবস্থা আনতে চলেছে রাজ্য সরকার৷
বিধানসভা সূত্রে খবর, বাংলায় নাগরিকপঞ্জি রুখতে এবার প্রস্তাব আসছে বিধানসভায়৷ রাজ্য সরকারের প্রস্তাবে সমর্থন বাম ও কংগ্রেসের৷ আগামী ৬ সেপ্টেম্বর নাগরিকপঞ্জি রুখতে আনা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার হতে পারে৷ প্রস্তাবের বিরোধিতায় মাঠে নেমেছে বিজেপি৷ বাংলায় কোনভাবে এনআরসি যাতে চালু করা না যায়, তা নিশ্চিত করতে আনা প্রস্তাব আগামী ৬ সেপ্টেম্বর নাগরিকপঞ্জি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা৷ এই নিয়ে ডাকা হয়েছে সর্বদল বৈঠক৷ প্রস্তাবটি কার্যকর হলে বাংলায় নাগরিকপঞ্জি চালু করা কঠিন হয়ে পড়বে বলেই মনে করছেন পর্যবেক্ষক মহল৷