কলকাতা: প্রায় ৭ বছর অতিক্রান্ত৷ এখনও হয়নি উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ৷ মেধা তালিকা চূড়ান্ত অনিয়মের অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয়েছে মামলা৷ নিয়োগের উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট৷ উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের জটিলতার পাশাপাশি প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রেও রয়েছে ধোঁয়াশা৷ ২০১৭ সালে টেটের বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়ার পরও এখনও পর্যন্ত পরীক্ষার দিনক্ষণ ও শূন্যপদের সংখ্যা প্রকাশিত হয়নি৷ তার উপর নতুন করে শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে সরব হয়েছেন বহু প্রশিক্ষিত চাকরিপ্রার্থী৷ দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষক নিয়োগ না হওয়ার অভিযোগ তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হচ্ছেন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ৷ এবার সেই সমস্ত চাকরিপ্রার্থীদের প্রতিবাদ কর্মসূচির প্রসঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের মতামত ব্যক্ত করলেন তৃণমূল সাংসদ মৈত্র৷ সাংসদের ফেসবুক পোস্ট ঘিরে ক্ষোভে ফুঁসছেন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ৷
নতুন শিক্ষক নিয়োগের দাবি-সহ উচ্চ প্রাথমিকে দ্রুত নিয়োগ, প্রাথমিকের টেট পরীক্ষার দাবি জানিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই প্রতিবাদ চালিয়ে যাচ্ছেন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ৷ বাড়ি থেকে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে চলছে সেই প্রতিবাদ কর্মসূচি৷ সম্প্রতি, বেশকিছু চাকরিপ্রার্থী শাসক-বিরোধী নেতা-নেত্রীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে, তাঁদের ওয়ালে কমেন্ট করার কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন৷ বিভিন্ন দলের নেতা-নেত্রীদের ওয়ালে তাদের যন্ত্রণা তুলে ধরার চেষ্টা করছেন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ৷ কিন্তু তাতেই ঘোর আপত্তি তুলেছেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র৷
গত পয়লা জুলাই রাত ন’টা ৬ মিনিটে একটি ফেসবুক পোস্ট করেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র৷ সেখানে লেখেন, ‘‘আপনাদের সকলের জ্ঞাতার্থে জানানো হচ্ছে যে প্রতিদিন আমার পেজে আমি যে কোভিড আপডেট দিয়ে থাকি তা প্রকৃতপক্ষে সকলের অবগতির জন্য এবং কোভিড সংক্রান্ত কোনো তথ্য যদি আপনাদের থাকে তাহলে তা পরিবেশনের একটি স্থান হিসাবে আপনারা আমার এই পোস্টটিকে ব্যবহার করতে পারেন ।কিন্তু বিগত কয়েকদিন ধরে আমি দেখছি এই পোস্ট এর রিপ্লাই স্বরূপ বহু মানুষ শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে পোস্ট করছেন। তাতে এই পোস্ট তার প্রাসঙ্গিকতা হারাচ্ছে। দয়াকরে অপ্রাসঙ্গিক বিষয় পরিবেশনের মাধ্যমে এই পোস্টটির প্রাসঙ্গিকতা নষ্ট করবেন না।’’
তৃণমূল সাংসদের এই পোস্ট ঘিরে চাকরি প্রার্থীদের মধ্যে তৈরি হয়েছে তীব্র অসন্তোষ৷ একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে তিনি কেন চাকরিপ্রার্থীদের আর্জি ‘অপ্রাসঙ্গিক বিষয়’ বলে বিবেচনা করলেন, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ৷ একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে বেকার চাকরিপ্রার্থীদের নিয়ে কেন এমন মন্তব্য করলেন সাংসদ? প্রশ্ন তুলেছে বামেদের তরফ৷ Left Front Daily নামের ফেসবুক পেজে সাংসদের পোস্ট তুলে ধরে প্রশ্ন করা হয়েছে, ‘বেকারদের অপ্রাসঙ্গিক বলতে লজ্জা লাগে না মাননীয়া সাংসদ?’ ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণমূল সাংসদের মন্তব্য ঘিরে সরব হয়েছেন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ৷ ভাইরাল পোস্ট৷