কলকাতা: ভোট মিটলেও ভোট পরবর্তী হিংসা অব্যাহত। এই অবস্থায় রাজ্যের পরিস্থিতি সামাল দিতে এবার আসরে নামলেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। রাজ্যজুড়ে হিংসা রুখতে রাজ্যবাসীর কাছে শান্তির জন্যে আবেদন করলেন কেশরিনাথ ত্রিপাঠী। শনিবার এক বিবৃতিতে একথা জানিয়েছেন তিনি।
রাজ্যপাল তাঁর আহ্বানে জানিয়েছেন, ‘‘বাংলার ঐতিহ্য বজায় রেখে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রেখে সবাইকে একজোট হয়ে কাজ করতে হবে। তবেই রাজ্যে উন্নয়ন সম্ভব। সবাই রাজ্যের উন্নয়নে সামিল হোন।’’ ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর থেকেই বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে তৃণমূলের পার্টি অফিস দখল করার অভিযোগ উঠেছে। বিভিন্ন জায়গায় আক্রান্ত হচ্ছেন তৃণমূলকর্মীরা। যদিও বিজেপির তরফে সেই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
শালবনীতে অঞ্চলের তিলাখুলা পূর্ব বুথে তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি অফিস ভাঙচুর করে দখল করল বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। অভিযোগ তৃণমূলের।
দফায় দফায় সংঘর্ষে উত্তপ্ত আরামবাগ লোকসভার অন্তর্গত হুগলির হরিপাল। জানা গিয়েছে, গোপিনগর মোড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয় ও একটি হোটেলে ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। পাল্টা তৃণমূল দুই বিজেপি কর্মীর বাইক ও বাড়ি ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ। এই নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা।
ভোট পরবর্তী হিংসা বাঁকুড়ার তালডাংরায়। বাঁকুড়া জেলা পরিষদের বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ চন্দন অধিকারীর বাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে। গতকাল রাতে ঘটনাটি ঘটে। অভিযোগ ৩০জন বিজেপি কর্মী, সমর্থকরা চন্দন অধিকারীর বাড়িতে ঢোকেন। ভাঙচুরের পাশাপাশি তাঁর মেয়ের গলা থেকে হার ছিনতাই করা হয় বলেও অভিযোগ জানিয়েছেন ওই তৃণমূল নেতা।