ভুয়ো ম্যারেজ সার্টিফিকেট দেখিয়ে জোড়া ধর্ষণ, বিচার চেয়ে হাইকোর্টে যুবতী

কলকাতা: বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে লাগাতার ধর্ষণের অভিযোগ৷ বিচার চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন এক যুবতী। ভুয়ো ম্যারেজ সার্টিফিকেট দেখিয়ে একই ব্যক্তির কাছে দু’বার ধর্ষণের শিকার হয়ে আদালতের দ্বারস্থ নির্যাতিতা৷ বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রথমে ওই মহিলাকে ধর্ষণ করেছিল অভিযুক্ত। অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ায় পরও ওই অভিযোগকারিণীকে বিয়ে করতে অস্বীকার করে ওই ব্যক্তি। এই নিয়ে নিম্ন আদালতে মামলা

ভুয়ো ম্যারেজ সার্টিফিকেট দেখিয়ে জোড়া ধর্ষণ, বিচার চেয়ে হাইকোর্টে যুবতী

কলকাতা: বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে লাগাতার ধর্ষণের অভিযোগ৷ বিচার চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন এক যুবতী। ভুয়ো ম্যারেজ সার্টিফিকেট দেখিয়ে একই ব্যক্তির কাছে দু’বার ধর্ষণের শিকার হয়ে আদালতের দ্বারস্থ নির্যাতিতা৷

বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রথমে ওই মহিলাকে ধর্ষণ করেছিল অভিযুক্ত। অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ায় পরও ওই অভিযোগকারিণীকে বিয়ে করতে অস্বীকার করে ওই ব্যক্তি। এই নিয়ে নিম্ন আদালতে মামলা চলাকালীন বিয়ের নথিভুক্তকরণের জাল নথিতে সই করিয়ে ফের ওই মহিলাকে দ্বিতীয়বারের জন্য ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে স্বপন কুমার পুর্কায়েত নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। দু’বার মানসিক ও শারীরিকভাবে নিপীড়নের শিকার হয়ে ওই নির্যাতিতা অবশেষে হাইকোর্টের শরণাপন্ন হয়েছেন। আগামী ২০ আগস্ট বিচারপতি দেবাংশু বসাকের এজলাসে মামলার শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা।

এই প্রসঙ্গে মামলাকারীর আইনজীবী জানিয়েছেন, বারুইপুর থানা এলাকার বাসিন্দা ওই মহিলার সঙ্গে ১৯৮৮ সালে পরিচয় হয় স্থানীয় বাসিন্দা স্বপন নামের এক যুবকের। ধীরে ধীরে বন্ধুত্ব গড়িয়ে যাই সম্পর্কে। ওই নির্যাতিতার অভিযোগ, এরপর বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করে স্বপন৷ এতেই অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন তিনি৷ বিষয়টি জানাজানি হতে তাঁকে বিয়ে করার জন্য বলতেই বেঁকে বসে স্বপন। ওই মহিলাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করায় বারুইপুর থানায় স্বপনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতার পরিবার। মামলার তদন্ত শুরু করে বারুইপুর থানার পুলিশ৷ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। পুলিশের এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় অভিযুক্ত৷

আদালতে পুলিশের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা স্থগিত করে তা নিম্ন আদালতে পাঠিয়ে দেয়। দীর্ঘদিন ধরে বারুইপুর আদালতে মামলাটি বিচারাধীন অবস্থায় ছিল। এরপর মহিলা কমিশনের মধ্যস্থতায় নিজেদের মধ্যে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার প্রস্তাবে রাজি হয় স্বপন। কিন্তু সেখানে ম্যারেজ রেজিস্ট্রি ভুয়া কাগজপত্র সই করিয়ে ফের নির্যাতিতাকে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত। পরে বিষয়টি জানতে পারেন নির্যাতিতা। ফের দ্বারস্থ হন বারুইপুর থানায়।

যুবতীর অভিযোগ, পুলিশ তাঁর অভিযোগ নেইনি। গত ৯ জুলাই ওই মামলায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলে নড়েচড়ে বসে বারুইপুর থানার পুলিশ। এরপর স্বপনে বিরুদ্ধে ফের ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করা হয়। ২৪ ঘন্টার মধ্যে অভিযোগকারিণীর গোপন জবানবন্দি নেওয়ার কথা ছিল পুলিশের। কিন্তু তিন সপ্তাহ কেটে গেলেও তা না হয় ২৫ জুলাই বারুইপুর পুলিশ সুপারকে লিখিত অভিযোগ জানান নির্যাতিতা। কিন্তু তাতেও সুরাহা না হওয়ায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন অভিযোগকারিণী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *