নয়াদিল্লি: রাজধানী দাঙ্গায় ইন্ধন দেওয়ার অভিযোগে উমর খলিদ গ্রেফতার হয়েছেন। কিন্তু, তার ‘অভিন্ন হৃদয়’ বন্ধু কানাইয়া কুমার কোথায় জানেন। কোনও আন্দোলন বা প্রতিবাদ কর্মসূচির পুরোভাগে তো তাকে দেখা যাচ্ছে না। উমর গ্রেফতার হওয়ার পর একটি ফেসবুক পোস্ট – ব্যাস। কানাইয়া আর কোথাও নেই। জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধু, তিহার জেলের সতীর্থ উমর জেলে – কানাইয়া কী আর একটু উদ্যমী হতে পারতেন না? প্রশ্ন উঠেছে, উমর খলিদের পাশ থেকে কী সরে এলেন কানাইয়া কুমার?
রাজধানীর রাজনৈতিক চত্বরে উমর-কানাইয়ার দোস্তি নিয়ে কম আলোচনা হয় না। তবে, এই বিচ্ছিন্নতা সম্পর্কেও আলোচনা চলছে জোর কদমে। অনেকে বলতে শুরু করেছেন, উমর ঠিক হলে কানাইয়া পাশে নেই কেন? দিল্লি দাঙ্গায় উমর খলিদের যদি কোনও ভূমিকা না থাকত, তবে কানাইয়া কুমার তার গ্রেফতারের পর তেমন উদ্যমী নন কেন? কেনই বা তার গ্রেফতারির প্রতিবাদে রাস্তায় নামছেন না?
উমরের থেকে নিদির্ষ্ট কারণে দুরত্ব বজায় রাখছেন কানাইয়া। অনেকেই বলছেন কারণটা রাজনৈতিক। ধীরে ধীরে উমর খলিদের রাজনৈতিক মতাদর্শ এবং কার্যকলাপ থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নিতে সচেষ্ট কানাইয়া। কারণ। তিনি জানেন ভারতের মূল রাজনৈতিক স্রোতে বিলীন হতে গেলে উমর খলিদের মত ব্যক্তিত্বের থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে কানাইয়া বেগুসরাই থেকে বিপুল ভোটে হারেন। কিন্তু, তা বলে ভারতের মূল রাজনৈতিক স্রোতের নেতা হওয়ার সুযোগ ছাড়তে চান না। সামনেই রয়েছেন বিহার নির্বাচন।
১৬ সেপ্টেম্বরের কথা। দিল্লিতে উমর খলিদের গ্রেফতারের প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলনে প্রধান বক্তা কানাইয়া কুমার। তিনি এলেনই না। এটাই প্রথম নয়, ফেব্রুয়ারি মাসে দিল্লি পুলিশ কিছু সিএএ-বিরোধীদের গ্রেফতার করে। কানাইয়া সে ব্যাপক এপ্রিল মাস পর্যন্ত মুখ খোলেননি। পরে জানান, লকডাউন, অতিমারী, সেই কারণে বিষয়টি উত্থাপন করেননি।
কানাইয়া এবং উমরের মধ্যে তফাৎ রয়েছে তারা দুজনেই জানেন। তবে প্রথমে মিলটি নিয়েই আলোচনা করা যাক। জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় অভিযুক্ত দুজনেই। কিন্তু, কানাইয়া সি পি আই এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। বিহার থেকে এক তরুণ তুর্কি নেতা। বিজেপির ‘হেভিওয়েট’ গিরিরাজ সিং এর কাছে হেরে গেলেও সারা দেশে সুবক্তা হিসাবে পরিচিত। কিন্তু, উমর জেলবন্দি। জানেনও না বিচারপর্ব কবে শুরু হবে।