মৈনপুরী (উত্তরপ্রদেশ): ভোট বড় বালাই! যবনিকা পড়ল প্রায় আড়াই দশকের অহি-নকুল সম্পর্কে। দীর্ঘ শত্রুতা ভুলে একমঞ্চে এলেন ‘বহেনজি-নেতাজি’। প্রশংসায় ভরিয়ে দিলেন পরস্পরকে। আর মায়া-মুলায়মকে এক ফ্রেমে পেয়ে উচ্ছ্বাসে ভেসে গেল ‘মহাগঠবন্ধনে’র জনসভা।
শুক্রবার মৈনপুরীর এই সভা থেকে মায়াবতীর ঘোষণা, মুলায়ম পিছিয়ে পড়া মানুষের ‘প্রকৃত নেতা’। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মতো ‘নকলি নেতা’ নন। মুলায়ম বললেন, অনেকদিন পর মায়াবতী ও আমি এক মঞ্চে এলাম। আমরা তাঁকে স্বাগত জানাই। ধন্যবাদ জানাই। মায়া-মুলায়ম দর্শনে ক্রিশ্চিয়ান কলেজের মাঠ তখন জনসমুদ্র। ছয়লাপ লাল সমাজবাদী টুপিতে।
১৯৯৫ সালের কুখ্যাত গেস্ট হাউস কাণ্ডের পর থেকে সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করে দিয়েছিলেন মায়াবতী। মায়া-মুলায়মের দীর্ঘ শত্রুতা দেখেছে উত্তরপ্রদেশের রাজনীতি। বিজেপিকে রোখার লক্ষ্যে এদিন এক নয়া রাজনৈতিক সমীকরণের সাক্ষী থাকল মুলায়মের পারিবারিক ঘাঁটি বলে পরিচিত মৈনপুরী। এদিনের জনসভা ভরিয়ে দিয়েছিলেন মূলত সমাজবাদী পার্টির সমর্থকেরা। বহেনজি উপস্থিত হতেই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ল ক্রিশ্চিয়ান কলেজের মাঠ। মায়া মঞ্চে ওঠার পর তাঁর পা ছুঁয়ে প্রণাম করলেন সমাজবাদী পার্টির এক বিধায়ক। মৈনপুরীর প্রার্থী হিসেবে প্রথমে বক্তব্য রাখার পালা ছিল মুলায়মেরই।