কোচবিহার: অনেক বুথে ইভিএমের পাশে দাঁড়িয়ে ভোট করাচ্ছে তৃণমূলের এজেন্টরা৷ অভিযোগ বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিকের৷
এদিন সংবাদমাধ্যমে কোচবিহারের বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক বলেন, ‘‘যে সমস্ত বুথে রাজ্য পুলিশ রয়েছে, সেখানে তৃণমূলের এজেন্ট দেওয়া হয়েছে, তারা কিন্তু, ইভিএমের পাশে দাঁড়িয়ে দেখে দেখে ভোট করাচ্ছে৷ তারা ভয় দেখিয়ে, জোর করে ভোটাররা যাতে তৃণমূলকে ভোট দিতে বাধ্য হয়, তার ব্যবস্থা করছে৷ আমরা বারবার অভিযোগ যানাচ্ছি৷ এখনও কোনও জবাব পাইনি৷ শিতলকুচি ও নাটাবাড়ি থেকে সব থেকে বেশি অভিযোগ আসছে৷ আমরা এবিষয়ে সকাল থেকে অভিযোগ জানাচ্ছি৷ কিন্তু, কোনও প্রতিক্রিয়া পাচ্ছি না৷’’
অন্যদিকে, বিকল ইভিএম৷ এখনও শুরু করা যায়নি বেশ কিছু বুথে ভোটগ্রহণ! বিকল ইভিএমে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে এবার পুনর্নির্বাচনের দাবি জানালেন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ৷ বৃহস্পতিবার সকালে ইভিএম অব্যবস্থার অভিযোগ তুলে জেলাশাসককে ফোন করে এই দাবি জানান তিনি৷
দিনহাটার ভেটগুড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের বুথে আজ সকালে ইভিএম বিকল হওয়ায় ভোট শুরু হতে দেরি হয়। ৭/২৩৪ বুথে ভিভিপ্যাট কাজ না করায় বেশ কিছুক্ষণ বন্ধ ছিল ভোটগ্রহণ। এছাড়া মাথাভাঙার শীতলকুচির ১৩১ নম্বর বুথেও ইভিএম খারাপ হওয়ায় গোড়ার দিকে ভোট শুরু করা যাচ্ছিল না। দিনহাটারই ৭/২৩৪ নম্বর বুথে পোলিং এজেন্টদের বুথের বাইরে বের করে দিয়েছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। পরে অবশ্য তাঁদের ঢুকতে দেওয়া হয়। এছাড়াও সেখানকার ওকরাবাড়িতে ৭/২৫৬-২৫৮, ২৬২, ২৬৮, ২৬৯ নম্বর বুথে বিজেপি এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ তোলা হয়েছে। একের পর এক ইভিএম মেশিন খারাপ হওয়ায় চক্রান্তের অভিযোগ তুলেছেন কোচবিহার জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা রাজ্যের মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ।
ভোট দিতে এসে তিনি অভিযোগ করেন, বিএসএফ ভোট প্রভাবিত করছে। অবজারভার ফোন ধরছেন না। পুলিশ অবজারভার ভোট না মিটিয়ে জেলা ছাড়তে চাইছেন৷ এদিন ভোট শুরুর এক ঘণ্টার মধ্যেই EVM-এ কারচুপির অভিযোগ তোলেন রাজ্যের মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ৷ একের পর এক ইভিএম খারাপ হওয়ার ঘটলায় জেলা শাসকের কাছে অভিযোগ মন্ত্রীর৷ ভোট শুরুর একঘণ্টার মধ্যে পরপর কেন ইভিএম বিকল হয়ে যাচ্ছে? প্রশ্ন মন্ত্রীর৷
রবীন্দ্রনাথ ঘোষের অভিযোগ, ‘‘আমরা বুঝতে পারছি না, কেন এত ইভিএম খারাপ হয়ে যাচ্ছে৷ খারাপ ইভিএমের পরবর্তন করে নতুন মেশিনে কোনও কারসাজি রয়েছে কি না, তাও বুঝতে পারছি না৷ কমিশনকে ফোন করেও পাওয়া যাচ্ছে না৷ মানুষ, ভোট দেওয়ার জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছে৷ এমন অবস্থা আগে কখনও দেখিনি৷ রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে ভোট করালে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন হত৷’’