আজ বিকেল: বিজেপিতে যোগ দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চমকে উঠলেও এমন ছবিই সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে অনলাইনে বিজেপি সদস্য পদ নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তাঁর মেম্বারশিপ নম্বর ৯৫১২। তবে তিনি একা নন, তালিকায় রয়েছেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীও এখানে রাহুলের মেম্বার শিপ নম্বর ৪২০। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ভুয়ো পোস্ট ভাইরাল হতেই বেজায় চটেছেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর প্রতিক্রিয়া, একটা রাজনৈতিক দল কতটা নিচে নামতে পারলে এই ধরনের কাজ করতে পারে ভাবার সময় এসেছে।
বিধানসভায় নিজের ঘরে বসেই বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন পার্থবাবু। বলেন, “কোথায় নেমেছে এরা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি দিয়ে বলছে ভারতীয় জনতা পার্টির মেম্বারশিপ নিয়েছে! কতটা নীচে নেমেছে ভাবুন। আমরা জানি এরকম বেনামে ফেসবুক দিয়ে বিজেপি মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চাইছে।” সেই সঙ্গে পার্থবাবু হুঁশিয়ারির সুরে বলেন, “দল থেকে এর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” তৃণমূলের মহাসচিবের কথায়, “মানুষকে বিভ্রান্ত করে, কর্মীদের বিভ্রান্ত করে বিজেপি যা করতে চাইছে, এটা গণতন্ত্রের একটা অশুভ দিক।”
এদিকে বিজেপির এহেন প্রচারে পার্থ চট্টোপাধ্যায় কেন মন্তব্য করলেন তানিয়ে হাজারও মতামত ছড়িয়ে পড়েছে। একাংশের মতে, বিজেপি যাই করুক না কেন সোশ্যাল মিডিয়ায় যাই ছড়াক তানিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়া দেওয়া উচিত হয়নি। এতে ভুয়ো প্রচারটির গুরুত্ব বেড়ে গেল। অন্যদিকে বাকিরা বলছেন, ভাগ্যিস বিজেপির এই নষ্টামির বিরুদ্ধে তৃণমূলের মহাসচিব মুখ খুলেছেন, নাহলে ওই ভুয়ো পোস্টটিকেই মান্যতা দেওয়া হত। গোটা দেশ জুড়ে সদস্য বাড়ানোর কর্মযজ্ঞ শুরু করেছে ভারতীয় জনতাপার্টি।সরাসরি বিজেপির দপ্তরে না এসেও অনলাইনে সদস্য হওয়া যাচ্ছে। এরকম একটি ফর্মেই তৃণমূলনেত্রীর ছবি রয়েছে। এদিকে পার্থবাবুর প্রতিক্রিয়ায় বিজেপির সায়ন্তন বসু বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লুকিয়ে লুকিয়ে যদি বিজেপি-র মেম্বারশিপ নেন, তাহলে আমরা কী করতে পারি? পার্থবাবু বরং দিদিমণিকে গিয়ে জিজ্ঞেস করুন, উনি মেম্বারশিপ নিয়েছেন কি না!”