কলকাতা: রাজ্যপাল তাঁর সাংবিধানিক দায়িত্ব থেকে বিচ্যুত হয়েছেন। ২১ জুলাই শহীদ দিবসের সূচনা পর্বেই রাজ্যপালের বিরুদ্ধে আক্রমণ তীব্র করল তৃণমূল কংগ্রেস। বক্তা তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। সুদীপের বক্তব্য, তিনি খবরের কাগজে পড়েছেন, রাজ্যপাল জগদীপ ধনখর দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে অভিযোগ করেছেন যে তাঁকে সাংবিধানিক দায়িত্বে পালন করতে দেওয়া হচ্ছে না। তবে, তৃণমূল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকে বলার সুযোগ পেলে বলত, রাজ্যপাল নিজেই তাঁর সম্মান ক্ষুণ্ন করেছেন। দেশের শাসকদল বিজেপির ইশারায় কাজ করছেন। তিনি সাংবিধানিক দায়িত্ব থেকে বিচ্যুত। সুদীপ বলেন, “অনেক সর্বদল বৈঠকে আমি এই কথা বলেছি। রাজ্যপালকে কখন কোনও রাজ্যে এই ভূমিকায় দেখিনি। রাজ্যপাল তাঁর সাংবিধানিক দায়িত্ব থেকে বিচ্যুত হয়েছেন।
তৃণমূল কংগ্রেস এবং রাজ্যপাল জগদীপ ধনখরের সম্পর্ক বারবার শিরোনামে এসেছে। তবে, রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে রাজভবনে এবং নবান্নের সম্পর্কের এই অধগমন নতুন নয়। বাম আমলে রাজ্যপাল গোপাল কৃষ্ণ গান্ধীর সঙ্গে মহাকরণের বিভিন্ন বিষয়ে দ্বন্দ্ব লেগেছিল। কিন্তু, তিক্ততা মাত্রা ছাড়েনি। প্রাক্তন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর সঙ্গে তৃণমূলের অম্লমধুর সম্পর্ক ছিল। এই দুই রাজ্যপালের ক্ষেত্রেই তৃণমূলের অভিযোগ একই রকমের – কাজকর্ম যুক্তরাষ্ট্রীয় ভাবমূর্তি নষ্ট করছে বলে অভিযোগ করেছে। রাজ্যপাল ধনখড়কে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘুরিয়ে বিজেপির লোক বলেছেন। রাজ্যপাল ত্রিপাঠীকে তিনি বিজেপি-র ব্লক সভাপতি বলেছিলেন৷ তবে মুরলীধর সেন লেনের যা খবর, রাজ্যপালের পাশে দাঁড়িয়ে তৃণমূল কংগ্রেস সরকারকে আক্রমণের পথে বিজেপি৷
রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে সংঘাতের পথে হেঁটে এক সাংবিধানিক তৈরি করছে রাজ্য সরকার, মনে করেন বিরোধী দলগুলি৷ রাজ্যপাল এবং রাজ্য প্রশাসনের মধ্যে প্রথম সংঘাতের আবহ বর্তমানI হাওড়ার নবান্ন এবং রাজভবনের মধ্যে দূরত্ব যেন ক্রমশই বাড়ছেI এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায প্রথম দিকে চুপই ছিলেন৷ তিনি সরাসরি মন্তব্যে যেতেন না৷ পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে সুব্রত মুখোপাধ্যায় – মমতার সিনিয়ার মন্ত্রীরা রাজ্যপালকে জবাব ফিরিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব নিয়েছিলেন৷ কিন্তু পরে মমতাও সরাসরি সমালোচনায় নেমেছেন৷