কলকাতা: বিরোধী পরিসর ভাঙাই কি কাল হল তৃণমূলের? রাজ্যে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের ভাঙিয়ে স্বশাসিত সংস্থাগুলিতে জোড়াফুলের পতাকা ওড়ানোর যে প্রবণতা তৃণমূল জমানায় আমদানি করা হয়েছিল, তার মধ্যেই নিহিত ছিল মেরুকরণের বীজ। এই দল ভাঙানোয় সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কংগ্রেস। প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব রাজ্যে বিজেপির এই নির্বাচনী সাফল্যের প্রাথমিক বিশ্লেষণে বসে তাই এভাবে তৃণমূলকেই কাঠগড়ায় তুলেছে।
কংগ্রেসের মতে, বাংলায় প্রায় সাড়ে তিন দশক ধরে বামেরা রাজত্ব করলেও বিরোধী দল ভাঙিয়ে শাসক শিবিরের লোক টেনে আনার চল ছিল না। ২০১১ সালে পালাবদলের পর শাসকদল তৃণমূলের আগ্রাসনে পড়তে শুরু করে বিরোধী দলগুলি। তৃণমূল জমানায় পুরসভা বা পঞ্চায়েত ভোটে যেখানে একটিও জোড়াফুল ফোটেনি, সেইসব বোর্ডও রাতারাতি কংগ্রেসের হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে তৃণমূল। কংগ্রেসের জেতা মালদহ ও মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদে স্রেফ দল ভাঙিয়েই ক্ষমতায় আসে শাসকদল।
২০১৬ সালে তৃণমূল রেকর্ড সংখ্যক আসনে জয়ী হয়ে দ্বিতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই বছরেই বামেরা কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধে বিধানসভা নির্বাচনে লড়েছিল। সেবার রাজ্য বিধানসভায় ৪৪টি আসন জিতে প্রধান বিরোধী দলের মর্যাদা পায় কংগ্রেস। মে মাসে দ্বিতীয়বার সরকার গঠনের পর ২১ জুলাই ধর্মতলায় তৃণমূলের শহিদ দিবসের মঞ্চে এক বাম ও এক কংগ্রেস সমর্থিত নির্দল বিধায়ককে দলে টেনেছিল শাসকদল। তারপর থেকেই প্রধানত কংগ্রেসের বিধায়কদের টার্গেট করতে থাকে তৃণমূল। যদিও দল ভাঙানোর কথা মানেনি তৃণমূল নেতৃত্ব।