কলকাতা: বিপুল জনমত নিয়ে ফের দিল্লির মসনদে বসছেন নরেন্দ্র দামোদর মোদি। দেশ জুড়ে গেরুযা ঝড়ে এবার বাংলাতেও কোণঠাসা তৃণমূল। আরএই গেরুয়া ঝড়ের নেপথ্যে বিজেপি নেতা মুকুল রায় বলেই মত রাজনৈতিক মহলের। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই বাংলায় ভাল ফলের কথা শুনিয়েছিলেন।
শেষমেষ বিজেপি সেনাপতি অমিত শাহকে বাংলা উপহার দিলেন মুকুল। বাংলায় প্রচারে এসে ঝড় তুলেছিলেন মোদি-অমিত শাহ জুটি। কিন্তু বাংলায় তৃণমূলকে দুরমুশ করে পদ্ম ঝড়ের নেপথ্যে দলমত নির্বিশেষে সবাই একজনের নামই নিচ্ছেন। দক্ষ সংগঠক মুকুল রায়। রাজনৈতিক সহকর্মী থেকে বিরোধীরাও জানেন, রাজ্যের প্রতিটি বুথ তাঁর হাতের তালুর মতো চেনা। একসময় বামেদের সরিয়ে বাংলায় পট পরিবর্তনের নেপথ্যে তাঁর অবদান ছিল অনস্বীকার্য। এবার সেই মুকুল রায়ই বিজেপির কাণ্ডারী হয়ে আরও পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিলেন। অতীত ভুলে বিজেপি নেতা এখন বলছেন, তৃণমূল দলটার অস্তিত্ব থাকবে না।
দিল্লির নেতাদের মুকুল রায় বোঝাতে পেরেছিলেন বাংলায় বিজেপির সম্ভাবনা কতটা। বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বও তাঁর উপর ভরসা রেখেছিলেন। উত্তর থেকে দক্ষিণ রাজ্যের সব জায়গায় দৌড়েছেন সংগঠনকে চাঙ্গা করতে। অন্যদিকে অন্য দল থেকে সাংসদ, বিধায়কদের নিয়ে এসে বিজেপির পাল্লা ভারী করেছেন। কোনও কিছুতেই বাধা দেননি মোদী-অমিত শাহরা। রাজ্যে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা বিজেপিতে যোগ দিলেও কোথাও কোনও সমস্যা তৈরি হয়নি। ঠান্ডা মাথায় রীতিমত অঙ্ক কষে সবকে এক করে তিলে তিলে ভিতটা আরও শক্ত করেছিলেন। তাই এবারও বলতে হচ্ছে মুকুল রায়ই বিজেপিকে বাংলায় শক্ত ভিতের উপর দাঁড় করিয়ে দিলেন।
এতদিন ভোট বৈতরণী পার করে দিতেন যিনি, তিনিই শত্রু শিবিরের ঘুঁটি সাজিয়েছেন। তাই মুকুল রায়কে গুরুত্ব না দিয়ে উপায় নেই।লোকসভা নির্বাচনে সাফল্যের পর এবার কি ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে নজর? মুকুলের কথাতেই ইঙ্গিত মিলেছে। এবার আরও বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দেবে। এমনকী নির্বাচনী জনসভায় প্রধানমন্ত্রীও সেই আভাস দিয়ে গিয়েছেন।