কলকাতা: ভোটের উত্তাপে পড়ুছে বাংলা৷ দিন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেলাগাম সন্ত্রাস৷ বিরোধী এজেন্টদের মারর করে বুথ দখল তৃণমূলের৷ রায়নায় ১২৩ ও ১২৪ নম্বর বুথ নিজেদের দখলে নেওয়ার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে৷
সোমবার সকাল থেকে ঠিকঠাক ভোট চললেও বেলা বারর সঙ্গে সঙ্গে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে রায়নার ওই বুথে৷ অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা এসে বিরোধী এজেন্টদের মারধর করে দুটি বুথের দখল নেওয়া হয়৷ স্থানীয়দের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় বাহিনী না থাকায় এই ঘটনা ঘটছে৷ পরে পুলিশ পৌঁছে নতুন করে ভোটগ্রহণ শুরু করা হয়৷
বেনজির বললেও কম বলা হয়৷ খোদ কেন্দ্রীয় বাহিনীর সামনেই অবাধে চলছে ছাপ্পা ভোট৷ ঘটনাস্থল সেই বোলপুরের কেতুগ্রাম৷ অভিযোগ, বুথের বাইরে কেন্দ্রীয় বাহিনী দাঁড়ি থাকলেও কেতুগ্রামে দুইটি বুথে অবাধে চলল ছাপ্পা ভোট৷ ১০৪ ও ১০৭ নম্বর বুথে ছাপ্পা দেওয়া অভিযোগ৷ ভোটারদের হয়ে তৃণমূল এজেন্টরা ইভিএমের বোতাম টেপার অভিযোগ৷ বুথের মধ্যে অবাধে ছাপ্পা দেওয়ার অভিযোগে প্রিজাইডিং অফিসারকে অপসারণ নির্বাচন কমিশনের৷
জানা গিয়েছে, এদিন সকালে ভোটগ্রহণ শুরু হতেই ভোটারদের হয়ে ভোট দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূল এজেন্টদের বিরুদ্ধে৷ অবাধে ছাপ্পা চললেও দর্শকের ভূমিকায় ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী৷ সংবাদমাধ্যমে এই খবর প্রকাশিত হতেই ব্যবস্থা নেয় কমিশন৷
অন্যদিকে, কমিশন তাঁকে বন্দি করলেও এই বন্দিত্বকে পাত্তা দিচ্ছেন না বীরভূমের অবিসংবাদী তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। সাফ জানিয়েছেন, তাঁকে বন্দি করা যায় না। গতকাল কমিশনের নির্দেশে ফোনটিও জমা দিয়ে দিয়েছেন। তবে তাতে কি, ফোন জমা করলেও কেষ্টর দাবি, তাঁর অনেক ফোন। সেসব ফোনে কথা বলার তো কোনও নিষেধাজ্ঞা জারি হয়নি। অন্যেরপোন থেকে তিনি প্র্যেকটি বুতের খবর নিতে থাকবেন।
বাহিনী যতই বাড়ির আশপাশে ঘিরে থাকুক, কিছুটা দূরেই রয়েছে ডিএমের গাড়ি। সবার লক্ষ্য অনুব্রতকে নজরবন্দি করে রাখা, তবে এসবের মধ্যে তৃণমূলের জেলাসভাপতির দৈন্দিন রুটিনে কোনওরকম পরিবর্তন হয়নি। তিনি সারাদিন যেখানে যেখানে যাবেন কমিশনের নির্দেশে কেন্দ্রীয় বাহিনীও ও ডিএম সেখানে যাবেন। আগামীকাল সকাল পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে।
অনুব্রতবাবু সকালে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, কমিশন তাঁকে নজরবন্দি করুক আর যাই করুক, নকুলদানা বিলি কিন্তু কোনওভাবেই আটকাবে না।