কলকাতা: লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল সরকার যে বাজেট পেশ করেছে তাতে বেজায় চমক রয়েছে। ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ প্রকল্পের টাকা দ্বিগুণ করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন খাতে টাকা বাড়ানো হয়েছে। দেওয়া হয়েছে আরও অনেক সুযোগ সুবিধা। ফের রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জন্য ৪ শতাংশ হলে ডিএ ঘোষণা করা হয়েছে।
বিরোধীরা যতই প্রশ্ন তুলুক যে এত টাকা আসবে কোথা থেকে, তা নিয়ে কিন্তু ভাবতে নারাজ আমজনতা। আমজনতা নিশ্চিত সরকারিভাবে যে টাকার কথা ঘোষণা করা হয়েছে, সেটা তাঁরা অবশ্যই পাবেন। সেই সূত্রে সাধারণ মানুষের সমর্থন তৃণমূলের দিকে আরও বেশি করে আসবে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে। আর সেটা বুঝতে পেরেই কিছুটা হলেও ব্যাকফুটে চলে গিয়েছে বিরোধীরা।
তৃণমূলের বাজেটের যথারীতি বিরোধিতা করেছে সিপিএম, বিজেপি ও কংগ্রেস। কিন্তু সেই বিরোধিতায় তেমন জোরালো কণ্ঠ শোনা যায়নি। কেউই বলতে পারছেন না এত টাকা দেওয়ার কথা কেন ঘোষণা করা হল। কারন সেটা বললেই তাতে সাধারণ মানুষ ক্ষিপ্ত হয়ে উঠবেন। তখন সাধারণ মানুষ প্রশ্ন করবেন, তাঁদের টাকা দেওয়া হলে বিরোধীদের এত জ্বালা হবে কেন? তাই প্রত্যাশিতভাবেই বিভিন্ন প্রকল্পে যেভাবে দরাজ হস্তে টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে তৃণমূল সরকার, তার প্রতিবাদ করতে পারছেন না বিরোধীরা। এটা নিঃসন্দেহে তৃণমূলের মাস্টারস্ট্রোক। এর মোকাবিলা কীভাবে করা যাবে তা এখন ভাবতে হবে বিরোধীদের।
সদ্য যে সমীক্ষা সামনে এসেছে তাতে দেখা যাচ্ছে তৃণমূল গতবারের মতোই বাইশটি আসনে জিততে পারে পশ্চিমবঙ্গ থেকে। কিন্তু সেই সমীক্ষা করা হয়েছিল রাজ্য বাজেটের আগে। রাজনীতির কারবারিরা মনে করছেন যে জনমোহিনী বাজেট পেশ করেছে তৃণমূল সরকার, তাতে ছবিটা বদলে গেলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। এমন কোনও ক্ষেত্র নেই যেখানে টাকা দেওয়ার কথা বলা হয়নি। তাই এর প্রভাব অবশ্যই ভোটবাক্সে পড়বে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন। সেই সূত্রে এবারের রাজ্য বাজেট সব অর্থে ‘গেমচেঞ্জার’ হবে বলে অনেকেরই মত।