দল বদলের ভয়ে কাঁটা তৃণমূল, বিধায়কদের একি বললেন মমতা?

আজ বিকেল: একে একে দল ছেড়ে বিজেপিতে চলে যাচ্ছেন বিধায়ক, কাউন্সিলর, নেতারা। কে কখন কি পরিস্থিতিতে বিজেপির সঙ্গে হাত মেলাচ্ছেন তার কিছুই বুঝে উঠতে পারছেন না দলনেত্রী তথা তৃণমূল নেতৃত্ব। লোকসভা ভোটের ফলাফলের পর মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়িতে কোর কমিটির বৈঠক বসল। সেই বৈঠকে যোগ দিয়ে পরের দিনই দুজন দিল্লিতে চলে গেলেন পরে জানা গেল বিজেপিতে

দল বদলের  ভয়ে কাঁটা তৃণমূল, বিধায়কদের একি বললেন মমতা?

আজ বিকেল: একে একে দল ছেড়ে বিজেপিতে চলে যাচ্ছেন বিধায়ক, কাউন্সিলর, নেতারা। কে কখন কি পরিস্থিতিতে বিজেপির সঙ্গে হাত মেলাচ্ছেন তার কিছুই বুঝে উঠতে পারছেন না দলনেত্রী তথা তৃণমূল নেতৃত্ব। লোকসভা ভোটের ফলাফলের পর মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়িতে কোর কমিটির বৈঠক বসল। সেই বৈঠকে যোগ দিয়ে পরের দিনই দুজন দিল্লিতে চলে গেলেন পরে জানা গেল বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। তাই দলের অন্দরেই একটি ভীতির পরিবেশ তৈরি হয়েছে। কে কখন দল ছাড়বেন বোঝা যাচ্ছে না।

এদিন তৃণমূল ভবনে দলনেত্রী স্পষ্টই বললেন, দল ও বিধানসভার স্পিকারকে না জানিয়ে তৃণমূলের কোনও বিধায়ক যেন রাজ্যের বাইরে ও বিদেশ সফরে না যান। দলের একাধিক নেতার কথায়, অস্বীকার করার উপায় নেই দলের মধ্যে একটা তো ভীতি তৈরি হয়েছেই। কে কখন দল ছাড়বেন সেই আশঙ্কা যেন গ্রাস করছে। সুতরাং এ দিনের বৈঠকে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ যে বিজেপি-র সঙ্গে যোগ রাখছেন না কে বলতে পারে! বৈঠকে দলীয় বিধায়কদের মমতা আরও বলেন, বিরোধীদের সঙ্গে কোনওরকম হিংসার ঘটনায় যেন না জড়িয়ে পড়েন তৃণমূলের নেতারা। এ ব্যাপারে যেন সংযম বজায় রাখেন। তা ছাড়া যথাসম্ভব সংবাদমাধ্যমকে এড়িয়ে থাকার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে বিধায়কদের। সেই সঙ্গে বলা হয়েছে, কোনও বিধায়ক কোনও ইস্যু নিয়ে দলের সঙ্গে কথা না বলে যেন আলটপকা মন্তব্য না করেন।

বলা বাহুল্য, বৈঠক শুরুর অনেক আগেই এদিন তৃণমূল ভবনে পৌঁছে যান প্রশান্ত কিশোর। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে একপ্রস্থ বৈঠকও সেরে ফেলেন। তারপর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এলে ফের কথা হয়। এরপর অভিষেকের সঙ্গেই বেরিয়ে যান প্রশান্ত কিশোর। এদিকে বৈঠক শেষেই দিদির নির্দেশ হাওয়ার মত ছড়িয়ে পড়ে। একাধিক শীর্ষ নেতা জানান, দিদি বলেছেন, কোনও বিধায়ককেই কলকাতায় বেশি সময় দিতে হবে না। যে যাঁর নিজের এলাকায় যেন থাকেন, বুথ স্তরে সংগঠন শক্তিশালী করার চেষ্টা করেন এবং যেন জনসংযোগ বাড়ানোর আরও চেষ্টা করেন। এর পরেই রাজ্যের বাইরে যাওয়া-না যাওয়ার প্রসঙ্গ তোলেন নেত্রী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *